লিথুয়ানিয়া

Spread the love

Featured Image: Wikipedia Commons.

Image: The Nations Online Project.

সাল

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

১৯১৫ জার্মান বাহিনী লিথুয়ানিয়া দখল করে নিল।

১৯১৭ রুশ বিপ্লব

১৯১৮ লিথুয়ানিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করল।

১৯২০ মস্কো চুক্তি, লিথুয়ানিয়ার স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।

১৯২৬ লিথুয়ানিয়ার নির্বাচনে বামপন্থীরা জয়লাভ করলে জাতীয়তাবাদী দলের নেতা আন্তানাস স্মেতনা এক সামরিক ক্যুদেতায় ক্ষমতা দখল করলেন।

১৯৩৯ সোভিয়েত ইউনিয়ন লিথুয়ানিয়াকে বাধ্য করল দেশটিতে সোভিয়েত সামরিক ঘাঁটি বসানো মেনে নিতে।

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৪০ লিথুয়ানিয়ায় সোভিয়েত হামলা। প্রেসিডেন্ট আন্তানাস স্মেতনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। লিথুয়ানিয়াকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হল।

সোভিয়েত ইউনিয়ন বাল্টিক দেশগুলো দখল করে নিল।* সাইবেরিয়া ও মধ্য এশিয়ায় গণ নির্বাসন শুরু।
* বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ার কারণে লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, ও এস্তোনিয়া দেশ তিনটি একসাথে বাল্টিক দেশ হিসেবে নামে পরিচিত।

১৯৪১ লিথুয়ানিয়ায় নাৎসি হামলা। দেশটিতে জার্মান নাৎসিদের দখলদারিত্বের পর্ব শুরু হল।

১৯৪৪ লিথুয়ানিয়ায় সোভিয়েত সেনাদের প্রত্যাবর্তন। নির্বাসিত করা ফের চালু হল। সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে লিথুয়ানীয়দের প্রতিরোধ দমন করা শুরু হল।

১৯৮৮ লিথুয়ানিয়ার একদল কবি ও বুদ্ধিজীবী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল লিথুয়ানিয়ান মুভমেন্ট ফর রিকন্সট্রাকশন (সাজুদিস)। সোভিয়েত ইউনিয়নের লিথুয়ানিয়া দখল করে রাখাকে অবৈধ ঘোষণা করে সাজুদিসের নেতারা রাজধানী ভিলনিয়াসে একটা জনসভা ডাকলেন। লিথুয়ানীয় কমিউনিস্ট পার্টিপ্রধানের পদ থেকে রিংগাউদাস সংগালিয়াকে সরিয়ে দেয়া হল, তাঁকে প্রতিস্থাপিত করলেন আলজির্দাস ব্রাজাউস্কাস।

১৯৮৯ সংসদ লিথুয়ানিয়ার সার্বভৌমত্বের ঘোষণাকে স্বীকৃতি দিল। লিথুয়ানীয় কমিউনিস্ট পার্টি সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে এল। স্বাধীনতার জন্য সমর্থন ব্যক্ত করল।

১৯৯০ লিথুয়ানিয়ার সংসদীয় নির্বাচনে অধিকাংশ আসন জিতল সাজুদিস। সাজুদিসের নেতা ভাইতাউতাস ল্যান্ডসবার্গিসের সংসদনেতা নির্বাচিত হলেন। স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন।

সোভিয়েত ইউনিয়ন লিথুয়ানিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করল। জ্বালানি সরবরাহ স্থগিত করে দেশটিতে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করল। লিথুয়ানিয়া স্বাধীনতা মুলতুবি রাখতে সম্মত হল।

১৯৯১ জানুয়ারি ল্যান্ডসবার্গিস স্বাধীনতার ঘোষণা মুলতুবি রাখার ইতি টানলেন।

ফেব্রুয়ারি গণভোটে অধিকাংশ ভোট লিথুয়ানিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে পড়ল।

সেপ্টেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক লিথুয়ানিয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি প্রদান, এই মাসেই জাতিসংঘে যোগ দিল লিথুয়ানিয়া।

১৯৯২ লিথুয়ানিয়ার নতুন সংবিধান প্রেসিডেন্টশাসিত ব্যবস্থা প্রবর্তন করল। অতীতের লিথুয়ানীয় কমিউনিস্ট পার্টি নতুন নামে লিথুয়ানীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক দল হিসাবে সাধারণ নির্বাচনে সাজুদিসের চেয়ে বেশি আসন জিতল। গঠিত হল জোট সরকার।

১৯৯৩ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আলজির্দাস ব্রাজাউস্কাস। কাউন্সিল অফ ইওরোপে যোগ দিল লিথুয়ানিয়া। নতুন জাতীয় মুদ্রা লিটাস প্রবর্তন করা হল। লিথুয়ানিয়া থেকে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ হল।

১৯৯৪ ন্যাটো পার্টনারশীপ ফর পীস কর্মসূচিতে যোগ দিল লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ডের সাথে মৈত্রী চুক্তি করল।

১৯৯৫ লিথুয়ানিয়ার দুটি বৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংকে ধ্বস নামল।

১৯৯৬ ব্যাংকিং সংকটের জের ধরে প্রধানমন্ত্রী স্লেজেভিসিয়াসকে বরখাস্ত করা হল। সাধারণ নির্বাচনে মধ্য-ডানপন্থী জোট সরকার ক্ষমতায় এল।

১৯৯৭ রাশিয়া সফর করলেন লিথুয়ানীয় প্রেসিডেন্ট ব্রাজাউস্কাস। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি ও সহযোগিতা চুক্তি সই।

১৯৯৮ লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মার্কিন নাগরিক ভালদাস আদামকুস, যিনি প্রায় ৫০ বছর নির্বাসিত ছিলেন।

১৯৯৯ মার্কিন জ্বালানি গ্রুপ উইলিয়ামস ইন্টারন্যাশনালের কাছে লিথুয়ানীয় রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানির শেয়ারের একাংশ বেচার বিতর্কিত চুক্তি সই হল। প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী রোলানডাস পাকসাস। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন আন্দ্রিয়াস কুবিলিয়াস।

২০০০ সাধারণ নির্বাচনে জিতে নতুন মধ্য-ডানপন্থী জোট সরকার ক্ষমতায় এল। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পাকসাস পুনরায় নির্বাচিত হলেন। এবার লিবারেল ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে।

২০০১ জুলাই বেসরকারিকরণ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সংস্কার বিষয়ে মতভেদের জের ধরে জোট সরকারের পতন হল। লিথুয়ানিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন আলজির্দাস ব্রাজাউস্কাস। তিনি ইইউ ও ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ করার প্রক্রিয়াটা দ্রুততর করবার শপথ করলেন।

২০০৩ জানুয়ারি লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রোলানডাস পাকসাস।

মে লিথুয়ানীয়রা গণভোটে ইইউয়ে যোগদানের পক্ষে রায় দিলেন।

ডিসেম্বর রাশিয়ার সংগঠিত অপরাধীদের সাথে যোগসাজশ করে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার দায়ে প্রেসিডেন্ট পাকসাসের অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হল।

২০০৪ মার্চ ন্যাটোতে যোগ দিল লিথুয়ানিয়া।

এপ্রিল সংসদ কর্তৃক অভিশংসিত ও বরখাস্ত হলেন পাকসাস।

মে ইওরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দিল লিথুয়ানিয়া।

জুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হলেন ভালদাস আদামকুস।

২০০৭ ডিসেম্বর ২১ শেনগেন জোনে যোগ দিল লিথুয়ানিয়া।

২০১৫ জানুয়ারি ১ ইওরোজোনে যোগ দিল লিথুয়ানিয়া।

২০১৬ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী আলজিরদাস বুতকেভিসিয়াস নেতৃত্বাধীন সোশাল ডেমোক্র্যাটদের হারিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন পিজ্যান্ট ও গ্রিন ইউনিয়নের সলিয়াস স্কেভেরনেলিস।

২০১৯ জুন সাবেক রক্ষণশীল অর্থমন্ত্রী ইনগ্রিদা সিমোনাইটকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারিয়ে ক্ষমতায় এলেন ফিন্যান্সিয়ার গীতানাস নাউসেদা।

২০২০ নভেম্বর রক্ষণশীলদের দ্য হোমল্যান্ড ইউনিয়ন-লিথুয়ানিয়ান ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটস আর দুটি মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দল ফ্রিডম পার্টি ও লিবারেল মুভমেন্টের একটি জোট সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হলেন ইনগ্রিদা সিমোনাইট।

তথ্যসূত্র

BBC. 2022. “Lithuania profile – Timeline.” BBC, November 28.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17540745

European Union. n.d. “Lithuania – EU Country Profile | European Union.” Accessed March 1, 2025.
https://european-union.europa.eu/principles-countries-history/eu-countries/lithuania_en

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *