
জাপান
Featured Image: Wikimedia Commons.

পূর্বসাল
১০০০-৩০০ ধান চাষ ও ধাতব শিল্পের সূচনা হল।
৬৬০-৫৮৫ জাপানের প্রথম সম্রাট বলে বিবেচিত জিম্মুর শাসনকাল।
৩০০ পূর্বসাল-২৫০ সাল জাপানের ইয়ায়োই পর্ব।*
* এ সময় জাপানে লোহার ব্যবহার চালু হয়। (Hoang 2016b)
৯৭-৩০ জাপানি সম্রাট সুজিনের শাসনকাল।
৪ শিন্টো দেবী আমাতেরাসুর সম্মানে প্রতিষ্ঠা করা হল ইসে গ্র্যান্ড শ্রাইন।*
* শিন্টোধর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন, (Hardacre 2016).
সাল
৮২ হান চীনের সাথে ইয়ায়োই জাপানের যোগাযোগ স্থাপিত হল।
১৮৯-২৪৮ রানী হিমিকোর শাসনকাল।
২৩৮ চীনে একটি শুভেচ্ছামূলক প্রতিনিধিদল প্রেরণ করলেন রানী হিমিকো।
২৫০-৭১০ ইয়ামাতো পর্ব।
২৫০-৫৩৮ কোফুন পর্ব।
৩০০-৭০০ জাপানে কোফুন নামের ঢিপিগুলোর সামনে হানিওয়া পোড়ামাটির তৈরি নানান নিদর্শন রাখা হল।
৩৬৬ কোরিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করল জাপান।
৪১৩-৭৮ জাপানের রাজারা এ সময় চীনে রাষ্ট্রদূত ও শুভেচ্ছাদল প্রেরণ করছেন।
৫৩১-৭১ সম্রাট কিমেলের শাসনকাল।
৫৩৫-৩৯ সম্রাট সেনকার শাসনকাল।
৫৩৮/৫৫২ বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হল।
৫৩৮-৭১০ আসুকা পর্ব।
৫৭২-৮৫ সম্রাট বিদাৎসুর শাসনকাল।
৫৮৫-৮৭ সম্রাট ইয়োমেইয়ের শাসনকাল।
৫৮৭ জাপান সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করল সোগা কুল।
৫৮৭-৯২ সম্রাট সুশুনের শাসনকাল।
৫৯২-৬২৮ সম্রাজ্ঞী সুইকোর শাসনকাল।*
* জাপানের প্রথম সম্রাজ্ঞী।
৫৯৩ নির্মিত হল জাপানের প্রাচীনতম বৌদ্ধ মন্দির গাঙ্গো-জি। এছাড়াও আরেকটি বৌদ্ধ মন্দির নির্মিত হয় এসময়। যার নাম শিতেননোজি।
৫৯৪-৬২২ সম্রাজ্ঞী সুইকোর রাজপ্রতিনিধি হিসাবে শাসন করছেন শোতোকু।
৫৯৬ নির্মিত হল হোকোজি বৌদ্ধ মন্দির।
৬০৪ শোতোকু তাইশি ১৭ অনুচ্ছেদের একটি সংবিধান প্রবর্তন করলেন।
৬০৭ নারায় নির্মিত হল হোরইয়ুজি বৌদ্ধ মন্দির।
৬২৯-৪১ সম্রাট জমেইয়ের শাসনকাল।
৬৪২-৪৫ সম্রাজ্ঞী কগইয়োকুর শাসনকাল।
৬৪৫ ফুজিওয়ারা নো কামাতারি প্রতিষ্ঠা করলেন ফুজিওয়ারা কুল। জাপানের রাজধানী আসুকা থেকে নানিওয়ায় স্থানান্তরিত হল। এক ক্যুদেতায় সোগি’দেরকে ক্ষমতাচ্যুত করলেন ফুজিওয়ারা নো কামাতারি।
তাইকা কনফুশীয় সংস্কার।
৬৪৫-৫৪ সম্রাট কোতুকুর শাসনকাল।
৬৫৫-৬১ সম্রাজ্ঞী সাইমেইয়ের শাসনকাল।
৬৬১-৭১ সম্রাট তেনজির শাসনকাল।
৬৭১-৭২ সম্রাট কোবুনের শাসনকাল।
৬৭২-৮৬ সম্রাট তেম্মুর শাসনকাল।
৬৮০ ফুজিওয়ারা-কিয়োতে স্থাপিত হল ইয়াকুশিজি মন্দির।
৬৮৬-৯৭ সম্রাজ্ঞী জিতোর শাসনকাল।
৬৯৪-৭১০ ফুজিওয়ারা-কিয়োকে জাপানের রাজধানী বানান হল।
৬৯৭-৭০৭ সম্রাজ্ঞী মম্মুর শাসনকাল।
৭০২ প্রচারিত হল তাইহো বিধি।
৭০৭-৭১৫ সম্রাজ্ঞী গেম্মেইয়ের শাসনকাল।
৭০৮ প্রবর্তিত হল জাপানের প্রথম মুদ্রা ওয়াডো কাইহো।
৭১০ জাপানের রাজধানী ফুজিওয়ারা-কিয়ো থেকে নারায় স্থানান্তরিত হল। নারায় প্রতিষ্ঠা করা হল কোফুকাজি বৌদ্ধ মন্দির।
৭১০-৭৯৪ নারা পর্ব।
৭১১ শিন্টো চাল দেবতা ইনারির সম্মানে প্রতিষ্ঠা করা হল ফুশিমি ইনারি শ্রাইন।
৭১২ লিখিত হল কোজিকি।*
* শিন্টোধর্মের ভিত্তি বিবেচিত মৌখিক পুরাণগুলোর একটি সংকলন।
৭১৩ লিপিবদ্ধ করা হল কামি ও আনুষঙ্গিক কিংবদন্তীগুলো।
৭১৫-২৪ সম্রাজ্ঞী গেনশোর শাসনকাল।
৭২০ লিখিত হল নিহোন শোকি।*
** শিন্টোধর্মের ভিত্তি বিবেচিত মৌখিক পুরাণগুলোর আরেকটি সংকলন।
৭২৪-৪৯ সম্রাট শোমুর শাসনকাল।
৭২৫ উত্তর কিয়ুশুতে উসা শ্রাইন প্রতিষ্ঠা করা হল এবং শিন্টো দেবতা হাচিমানকে উৎসর্গ করা হল।
৭৩৫-৩৭ দুটি গুটিবসন্ত মহামারীতে জাপানের জনসংখ্যার ২৫-৩৫ শতাংশের মৃত্যু।
৭৪০ হিরোৎসুগু নেতৃত্বাধীন একটি বিদ্রোহ দমন করলেন সম্রাট শোমু।
৭৪৯-৫৮ সম্রাজ্ঞী কোকেনের প্রথম শাসনকাল।
৭৫১ সংকলিত হল জাপানি কবিতার একটি সংগ্রহ: কাইফুসো।
৭৫২ নারায় প্রতিষ্ঠিত হল বৌদ্ধ মন্দির তোদাইজি।
৭৫৮-৬৪ সম্রাট জুননিনের শাসনকাল।
৭৫৯ লিখিত হল মানইয়োশু।*
* জাপানি কাব্যসাহিত্যের একটি ধ্রুপদীকর্ম বলে বিবেচিত হয়।
৭৬৪-৭০ সম্রাজ্ঞী কোকেনের দ্বিতীয় শাসনকাল।
৭৬৭-৮২২ তেন্দাই বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক সাইচো’র জীবনকাল।
৭৬৮ নারায় প্রতিষ্ঠিত হল কাসুগা তাইশা শিন্টো শ্রাইন।
৭৭০-৮১ সম্রাট কোনিনের শাসনকাল।
৭৭৪-৮৩৫ শিঙ্গন বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক বৌদ্ধ ভিক্ষু কুকাইয়ের জীবনকাল।*
* তাঁর আরেকটি নাম হল কোবো দাইশি।
৭৮১-৮০৬ সম্রাট কাম্মুর শাসনকাল।
৭৮৪ জাপানের রাজধানী নারা থেকে নাগাওকাকইয়োতে স্থানান্তরিত হল।
৭৮৫ সাইচো কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল এনরিয়াকুজি মন্দির কমপ্লেক্স।
৭৯৩-৮৬৪ বৌদ্ধ পণ্ডিত ও ভিক্ষু এননিনের জীবনকাল।*
* এনরিয়াকুজি মন্দির কমপ্লেক্সের মঠাধ্যক্ষ ছিলেন এননিন, যিনি চীন থেকে বহু গুপ্তবিদ্যা নিয়ে এসেছিলেন।
৭৯৪ জাপানের রাজধানী নাগাওকাকইয়ো থেকে হেইয়ান-কো’তে স্থানান্তরিত হল।* হেইয়ান-কো’তে হেরানো শিন্টো শ্রাইন নির্মাণ করলেন সম্রাট কাম্মু।
* শহরটি বর্তমানে কিয়োটো নামে পরিচিত।
৭৯৪-১১৮৫ হেইয়ান পর্ব।
৭৯৬ হেইয়ান-কো’র নিকটে নির্মিত হল বৌদ্ধ মন্দির তো-জি।
৮০০-১৮৭৬ জাপানে এ সময় সক্রিয় আছে যোদ্ধা গোষ্ঠী সামুরাই। (Cartwright 2019a)
৮০৬ ফুজি পর্বতের ওপর নির্মিত হল ফুজিশান হোনগু সেনগেন তাইশা শিন্টো শ্রাইন।
৮০৭ ইমিবে-নো-হিরোনারি কর্তৃক রচিত হল কোগোশুই।*
* শিন্টোধর্মের ভিত্তি বিবেচিত মৌখিক পুরাণগুলোর আরেকটি সংকলন।
৮০৯ কোয়া পর্বতের ওপর শিঙ্গন বৌদ্ধধর্মের একটি মঠ ও সদরদপ্তর স্থাপন করলেন কুকাই।
৮২৬ তো-জি বৌদ্ধ মন্দিরে একটি পাঁচতলা প্যাগোডা যুক্ত করা হল।
৮৪৫-৯০৩ পণ্ডিত ও দরবারি কর্মকর্তা সুগাওয়ারা নো মিশিজানের জীবনকাল। তেনজিন নামেও পরিচিত। তাঁর ওপর পরবর্তীতে দেবত্ব আরোপিত হয়।
৮৬৬ জাপানের রাজপ্রতিনিধি হলেন ফুজিওয়ারা নো ইয়ুশিফুসা।*
* তিনি জাপানের প্রথম রাজপ্রতিনিধি যাঁর শরীরে রাজরক্ত ছিল না।
৮৭৪ হেইয়ান-কোতে শোবো কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল বৌদ্ধ দাইগোজি মন্দির।
৮৯৭-৯৩০ সম্রাট দাইগোর শাসনকাল।
৯৪৭ সুগাওয়ারা নো মিশিজান ওরফে তেনজিনের সম্মানে প্রতিষ্ঠিত হল তেনমানগু কিতানো শ্রাইন।
৯৯৫ ফুজিওয়ারাদের কুলাধিপতি হয়ে উঠলেন ফুজিওয়ারা নো মিশিনাগা।
১০০২ মাকুরা নো সোশি লেখা শেষ করলেন সেই শোনাগোন।*
* জাপানি ইতিহাসের একটি ধ্রুপদীকর্ম বলে বিবেচিত হয়।
১০০৪ এ সময় নারী কবি ইজুমি শিকিবু তাঁর দিনপঞ্জি লিখছেন।
১০২০ গেনজি মনোগাতারি লেখা শেষ করলেন মুরাসাকি শিকিবু।*
* জাপানি সাহিত্যের একটি ধ্রুপদীকর্ম বলে বিবেচিত হয়।
১০৪২-১১০৩ কিংবদন্তী জাপানি যোদ্ধা মিনামোতো নো ইয়োশির জীবনকাল।
১০৪৬ ইয়োরিনোবু দাবি করলেন, হাচিমান মিনামোতো কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও কুলদেবতা।
১০৫২ ফুজিওয়ারা নো ইয়োরিমিচি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল বৌদ্ধ মন্দির প্রত্নস্থান বিয়োদো-ইন।
১০৭৩-৮৭ সম্রাট শিরাকাওয়ার শাসনকাল।
১১৪৭-৯৯ মিনামোতোদের কুলাধিপতি মিনামোতো নো ইয়োরিতোমোর জীবনকাল।
১১৫৬ হোগেন গণ্ডগোল।
১১৫৯-৮৯ কিংবদন্তী সামুরাই ইয়োশিৎসুনে’র জীবনকাল।
১১৬০ হেইজি গণ্ডগোল।
১১৬৮ ইৎসুকুশিমা শ্রাইন পুনর্নির্মাণ করলেন তাইরা নো কিয়োমোরি।
১১৮০ গেনপেই যুদ্ধ, তাইরা আর মিনামোতো কুলের মধ্যে।
১১৮৩ এতচুর নিকটে কুরিকারায় এক বিশাল তাইরা বাহিনীকে পরাস্ত করলেন কিসো ইয়োশিনাকা, দখল করে নিলেন জাপানের রাজধানী হেইয়ান-কো।
১১৮৪-৯৮ সম্রাট গো-তোবার শাসনকাল।
১১৮৫ দাননৌরার যুদ্ধ। মিনামোতো কুল তাইরা কুলকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করল। পানিতে ডুবে গেলেন শিশু সম্রাট আনতোকু।
১১৯২-১৮৬৮ জাপানে শোগুনশাহির কাল।*
* মধ্যপর্বের জাপানের সামরিক স্বৈরতন্ত্রী’রা শোগুন নামে পরিচিত। এঁদের শাসনই শোগুনশাহি। ১৮৬৮ সালে মেইজি’রা শোগুনশাহি বিলুপ্ত করে দেয়। (Cartwright 2019b)
১১৯২ জাপানের প্রথম শোগুন হলেন মিনামোতো নো ইয়োরিতোমো। প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি কামাকুরা শোগুনশাহি। যা কামাকুরা বাকুফু নামেও পরিচিত।
১১৯২-১৩৩৩ কামাকুরা শোগুনশাহি/বাকুফু।
১১৯২-৯৯ শোগুন মিনামোতো নো ইয়ারিতোমোর শাসনকাল।
১১৯৫ নারায় তোদাইজি মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করল মিনামোতো কুল।
১২০২-০৩ শোগুন মিনামোতো নো ইয়োরির শাসনকাল।
১২০৩-০৫ জাপানের শোগুনের রাজপ্রতিনিধি হলেন হোজো তোকিমাসা।
১২০৩-১৯ শোগুন মিনামোতো নো সানেতোমোর শাসনকাল।
১২১৮ প্রকাশিত হল হাইকে মনোগাতারি।
১২২১ জকিউ গণ্ডগোল।
১২২৪ শিনরান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ট্রু পিওরল্যান্ড সেক্ট।
১২২৫ শোগুনের উপ-রাজপ্রতিনিধির পদ রেনশো তৈরি করা হল।
১২৩২ প্রণীত হল নয়া আইন বিধি জোয়ি শিকিমোকু।
১২৪৬-৫৯ সম্রাট গো-ফুকাকুসার শাসনকাল।
১২৪৯ হিকিৎসুকেশুতে একটি উচ্চ আদালত স্থাপন করা হল।
১২৪৯-৫৩ কামাকুরায় জেন বৌদ্ধ মঠ কেনছোজি নির্মিত হল।
১২৫৩ প্রতিষ্ঠিত হল নিশিরেন সেক্ট।
১২৫৯-৭৪ সম্রাট কামেয়ামার শাসনকাল।
১২৭৪, ১২৮১ কুবলাই খানের নেতৃত্বে জাপানে পরপর দুইবার হামলা চালাল মঙ্গোলরা। কিন্তু দেশটি দখল করতে ব্যর্থ হল।
১২৮৩ কামাকুরায় জেন বৌদ্ধ মঠ এনগাকুজি নির্মিত হল।
১৩২৭-১৩৩৩ শোগুন হোজো মোরিতোকির শাসনকাল।
১৩৩৩ নিত্তা ইয়োশিসাদা হামলা চালিয়ে কাকামুরা শোগুনশাহি/বাকুফুর রাজধানী কামাকুরা ধবংস করে দিলেন। কামাকুরা শোগুনশাহি/বাকুফুর অবসান। শোগুনের সহকারী রাজপ্রতিনিধির পদ (কানরেই) তৈরি করা হল।
১৩৩৩-৩৬ কেনমু পুনর্বহাল, জাপানি সম্রাট গো-দাইগো কামাকুরা শোগুনশাহি/বাকুফু’কে উৎখাত করার কাজে বিদ্রোহী সমরপ্রভুদের কাজে লাগালেন।
১৩৩৮ জাপানের নতুন শোগুন হলেন আশিকাগা তাকাউজি।
১৩৩৮-১৫৭৩ আশিকাগা/মুরোমাছি শোগুনশাহি/বাকুফু।
১৩৩৮-৫৮ শোগুন আশিকাগা তাকাউজির শাসনকাল।
১৩৫০-৫২ শোগুন আশিকাগা তাকাউজির সাথে তাঁর ভাই তাদাইয়োশির যুদ্ধ।
১৩৫৯-৬৮ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিআকিরার শাসনকাল।
১৩৬৮-৯৪ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিমিৎসুর শাসনকাল।
১৩৯৫-১৪২৩ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিমোচির শাসনকাল।
১৩৯৭ হেইয়ান-কোতে নির্মিত হল কিনকাকুজি (সোনালি শিবির) মন্দির।
১৪০৭ ইৎসুকুশিমা শ্রাইনে একটি পাঁচতলা প্যাগোডা যুক্ত করা হল।
১৪২০-১৫০৬ প্রখ্যাত জেন ভিক্ষু ও শিল্পী সেশুর জীবনকাল।
১৪২৩-২৫ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিকাজুর শাসনকাল।
১৪২৯-৪১ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিনোরির শাসনকাল।
১৪৪২-৪৩ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিকাৎসুর শাসনকাল।
১৪৪৯-৭৪ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিমাসার শাসনকাল।
১৪৬০-৭৩ হেইয়ান-কোতে নির্মিত হল গিনকাকুজি (রূপালি শিবির) মন্দির।
১৪৬৭-৭৭ জাপান জুড়ে সমরপ্রভুদের মধ্যে চলছে ওনিন যুদ্ধ।
১৪৬৭-১৫৬৮ সেনগোকু, যুদ্ধরত রাজ্যসমূহের পর্ব।
১৪৭৩ হেইয়ান-কোর রোয়ানজি একটি জেন বৌদ্ধ মন্দিরে পরিণত হল।
১৪৭৪-৮৯ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিহিসার শাসনকাল।
১৪৯০-৯৩ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিতানের প্রথম শাসনকাল।
১৪৯৪-১৫০৮ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিজুমির শাসনকাল।
১৫০৮-২১ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিতানের দ্বিতীয় শাসনকাল।
১৫২১-৪৬ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিহারুর শাসনকাল।
১৫৪৩ জাপানের তেনেগাশিমায় পর্তুগিজদের আগমন।
১৫৪৬-৬৫ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিতেরুর শাসনকাল।
১৫৬০ ওকেহাজামা যুদ্ধ, মিকাওয়ার সমরপ্রভু ইমাগাওয়া ইয়োশিমোতোকে পরাস্ত করলেন ওডা নোবুনাগা।
১৫৬৮-১৬০০ আজুছি-মোমোইয়ামা পর্ব। (Cartwright 2019c)
১৫৬৮ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিহিদের শাসনকাল।
১৫৬৮-৮৮ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিআকির শাসনকাল।
১৫৬৮-৮২ হেইয়ান-কো দখল করে নিলেন ওডা নোবুনাগা, তিনি এ সময় মধ্য জাপানের সবচে প্রভাবশালী সামরিক নেতা।
১৫৭১ এনরিয়াকুজি মন্দির কমপ্লেক্সে হামলা চালালেন ওডা নোবুনাগা।
১৫৭৩ শোগুন আশিকাগা ইয়োশিআকিকে দেশছাড়া করলেন ওডা নোবুনাগা।
১৫৭৫ নাগাশিনোর যুদ্ধে জিতলেন ওডা নোবুনাগা।
১৫৭৬ এক তলোয়ার শিকারয়ের আয়োজন করলেন ওডা নোবুনাগা, উদ্দেশ্য ছিল চাষীদের অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নেয়া।
১৫৭৯ আজুচি প্রাসাদে একটি নতুন সদরদপ্তর স্থাপন করলেন ওডা নোবুনাগা।
১৫৮০ সামুরাইদের মধ্যে একসাথে দুটি তলোয়ার (দাইশো) বহন করা কেতাদুরস্ত ব্যাপার হয়ে উঠল। ওসাকার ইশিয়ামা হোনগাজি মন্দির-দুর্গে হামলা চালালেন নোবুনাগা।
১৫৮১ হিমেজি প্রাসাদের প্রথম সংস্করণটা নির্মাণ করলেন তোয়োতোমি হিদেয়োশি।
১৫৮২-৯৮ জাপান জুড়ে ব্যাপক আকারে ভূমি মালিকানা জরিপ চালালেন প্রথমে নোবুনাগা, এরপর হিদেয়োশি।
১৫৮২ জুন ২১ আত্মহত্যা করলেন প্রভাবশালী জাপানি দাইম্যো* ওডা নোবুনাগা।
* দাইম্যো মানে সামন্তপ্রভু।
১৫৮২-৯৮ জাপানের সামরিক নেতা তোয়োতোমি হিদেয়োশি।
১৫৮৬ বিশাল ওসাকা প্রাসাদ নির্মাণ করলেন তোয়োতোমি হিদেয়োশি।
১৫৮৭ জাপানকে সামরিকভাবে ঐক্যবদ্ধ করলেন তোয়োতোমি হিদেয়োশি। খ্রিস্টান প্রচারকদের বিরুদ্ধে জারি করলেন তাঁর প্রথম ফরমান।
১৫৮৮ তোয়োতোমি হিদেয়োশি এই মর্মে ফরমান জারি করলেন যে, কেবল পূর্ণ পদমর্যাদা থাকা সামুরাই’রাই একসাথে দুটি তলোয়ার বহন করতে পারবে। সাধারণ জাপানিদের অস্ত্র বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন।
১৫৯১ তোয়োতোমি হিদেয়োশি এই মর্মে বিধান জারি করলেন যে, সামুরাই’রা আর নিজেদের জমি নিজেরা চাষ করতে পারবে না। ফলে জীবিকার জন্য সামন্তপ্রভুদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ল সামুরাই’রা। জাপানের শ্রেণি ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনলেন হিদেয়োশি।
হেইয়ান-কোকে ঘিরে বিশাল ওডোই দুর্গপ্রাকার দেয়াল তৈরি করলেন হিদেয়োশি।
১৫৯১ প্রথমবারের মত কোরিয়ায় হামলা চালালেন তোয়োতোমি হিদেয়োশি, কিন্তু দেশটি দখল করতে ব্যর্থ হলেন।
১৫৯৪ হেইয়ান-কোর বাইরে নির্মাণ করা হল ফুশিমি প্রাসাদ।
১৫৯৭ তোয়োতোমি হিদেয়োশি খ্রিস্টান প্রচারকদের বিরুদ্ধে জারি করলেন তাঁর দ্বিতীয় ফরমান, নাগাসাকিতে ২৬ জন খ্রিস্টানকে ক্রুশবিদ্ধ করা হল।
১৫৯৭ দ্বিতীয়বারের মত কোরিয়ায় হামলা চালালেন তোয়োতোমি হিদেয়োশি, এবারও দেশটি দখল করতে ব্যর্থ হলেন।
১৫৯৮ সেপ্টেম্বর ১৮ তোয়োতোমি হিদেয়োশির মৃত্যু।
১৬০০ সেকিগাহারা যুদ্ধ। তোয়োতোমি হিদেয়োশির পুত্রের পক্ষে লড়া সেনাপতিদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করলেন তোকুগাওয়া ইয়েসু। আজুছি-মোমোইয়ামা পর্বয়ের সমাপ্তি।
১৬০৩-১৮৬৮ এডো পর্ব।
১৬০৩-০৫ শোগুন তোকুগাওয়া ইয়েসুর শাসনকাল।
১৬১৪ ওসাকা প্রাসাদের সমর, তোয়োতোমি হিদেয়োরির মৃত্যু।
১৬৩৭-৩৮ শিমবারা বিদ্রোহ।
১৮৩৩-৩৭ টেম্পো দুর্ভিক্ষ।
১৮৩৭ ওসাকায় একটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিলেন ওশিও হেইহাচিরো।
১৮৫৩ জাপানে আগমন ঘটল মার্কিন রণতরীর কমোডোর পেরির।
১৮৫৪ কানাগাওয়া চুক্তি সই।
১৮৫৬-৫৮ অসম চুক্তিসমূহের সূচনা।
১৮৬৭-৬৮ মেইজি পুনর্বহাল।*
* জাপানে শোগুনশাহির অবসান। এডো শহরের নাম পাল্টে টোকিও রাখা হল, এডো প্রাসাদ পরিণত হল সাম্রাজ্যিক প্রাসাদে। আমূল শিল্পায়নের মাধ্যমে আধুনিকীকরণের সূচনা ঘটান মেইজি’রা।
১৮৭১-৭৩ জাপানে ভূমি সংস্কার। দেশটির সেনাবাহিনীতে পুরুষদের সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক নিয়োগ। ইওয়াকুরা মিশন।
১৮৭৪ জাপানের তাইওয়ান অভিযাত্রা। সাগা বিদ্রোহ। আত্মহত্যা করলেন এতো শিম্পেই।
১৮৭৬ বাণিজ্যের জন্য কোরিয়াকে বন্দর উন্মুক্ত করে দিতে বাধ্য করল সাম্রাজ্যিক জাপান।
১৮৭৭ সাতসুমা বিদ্রোহ, আত্মহত্যা করলেন সাইগো তাকামোরি।
১৮৭৮ আততায়ীদের হাতে খুন হয়ে গেলেন ওকুবো তোশিমিচি।
১৮৮১ ক্ষমতাচ্যুত হলেন ওকুমা, সংবিধানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হল।
১৮৮৯ মেইজি সংবিধান।
১৮৯০ অনুষ্ঠিত হল জাপানের প্রথম ডায়েট নির্বাচন।*
* জাপানে সংসদ ডায়েট নামে পরিচিত।
১৮৯৪ অসম চুক্তিসমূহ সংশোধন করলেন মুৎসু মুনেমিৎসু।
১৮৯৪-৯৫ প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধ। শিমোনোসেকি চুক্তি। এই যুদ্ধে মাত্র ৯ মাসে হেরে যায় চীন এবং তাইওয়ান চীনের হাতছাড়া হয়।
১৮৯৮ জাপানে প্রণীত হল নাগরিক বিধি।
১৮৯৯ অসম চুক্তিসমূহের অবসান।
১৯০০ বক্সার বিদ্রোহ।
১৯০২ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাথে সাম্রাজ্যিক জাপানের ঐক্যজোট।
১৯০৪-৫ রুশ-জাপান যুদ্ধ ও পোর্টসমাউথের চুক্তি।*
* আধুনিক কালে জাপান প্রথম এশীয় শক্তি যে একটি ইওরোপীয় শক্তি রাশিয়াকে যুদ্ধে হারায়। মাঞ্চুরিয়ায় অর্জিত এই যুদ্ধের প্রভাব ছিল ব্যাপক। ভারত থেকে তুরস্ক পর্যন্ত বহু এশীয় দেশের জাতীয়তাবাদীরা জাপানের বিজয় দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
১৯০৬ সান ফ্রান্সিসকোতে জাপবিরোধী বিদ্যালয় আইন পাশ হল।
১৯০৭ কোরিয়ায় আগ্রাসন চালাল সাম্র্যাজিক জাপান।
১৯০৯ কোরীয় দেশপ্রেমিকদের হাতে আততায়িত হলেন ইতো হিরোবুমি।
১৯১০ সাম্রাজ্যিক জাপান কোরিয়া দখল করে নিল। দেশটিতে ইয়ি রাজবংশের শাসনের অবসান হল। কোরিয়া জাপানের উপনিবেশে পরিণত হল।
১৯১২ মেইজি সম্রাটের মৃত্যু, আত্মহত্যা করলেন নোগি ও তাঁর স্ত্রী।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে জাপান ব্রিটেনের পক্ষে যোগ দেয়। যুদ্ধ শেষে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জার্মানির কাছ থেকে কিছু দ্বীপের দখল লাভ করে।
১৯১৫ চীনের ব্যাপারে ২৫ দফা দাবি উত্থাপিত হল।
১৯১৭ রুশ বিপ্লব।
১৯১৮ ভাত দাঙ্গা, হারা তাকাশির নেতৃত্বে প্রথম পার্টি কেবিনেট।
১৯১৮-২২ রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রদেশগুলোকে বলশেভিক সরকারের বিরুদ্ধে বাফার জোন বানানোর চেষ্টা চালাল জাপান। কিন্তু ব্যর্থ হল। এই ব্যর্থতার কারণ অংশত দেশের জনমতের চাপ আর অংশত ছিল ইঙ্গ-মার্কিন কূটনৈতিক চাপ।
১৯২০-২৯ মহামন্দার জের ধরে জাপানে উগ্র জাতীয়তাবাদের উত্থান।
১৯২১ আততায়ীদের হাতে খুন হলেন হারা তাকাশি, সাম্রাজ্যিক জাপানের নতুন রাজপ্রতিনিধি হলেন হিরোহিতো।
১৯২৩ জাপানের কান্টো অঞ্চলে এক প্রচণ্ড ভূমিকম্প দেখা দেয়, এতে প্রাণ হারান কয়েক হাজার কোরীয়। টোকিওতে ভূমিকম্পে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু। সাম্রাজ্যিক জাপানের সাথে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ঐক্যজোটের অবসান।
১৯২৫ জাপানে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদেরকে সর্বজনীন ভোটাধিকার দেয়া হল।
১৯২৬ তাইশো সম্রাটের মৃত্যু, ক্ষমতায় আসলেন শোওয়া সম্রাট।
১৯২৮ কোয়ানটুং সেনাবাহিনীর হাতে আততায়িত হলেন ঝাং জউলিন।
১৯৩১ চীনের মাঞ্চুরিয়া প্রদেশ দখল করে নিল সাম্রাজ্যিক জাপান, একটি পুতুল সরকারকে ক্ষমতায় বসাল।
১৯৩২ মানচুকোও প্রতিষ্ঠিত হল। জাতীয়তাবাদী সেনা কর্মকর্তাদের এক ব্যর্থ সামরিক ক্যুদেতায় খুন হলেন প্রধানমন্ত্রী ইনুকাই ৎসুইয়োশি। জাপানে সামরিক বাহিনীর প্রভাব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেল।
১৯৩৩ লীগ অফ নেশনস থেকে বেরিয়ে এল জাপান।
১৯৩৬ কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের (কমিনটার্ন) বিরুদ্ধে নাৎসি জার্মানি আর সাম্রাজ্যিক জাপানের মধ্যে গঠিত হল এন্টাই-কমিনটার্ন প্যাক্ট।*
* পরের বছর ইতালি এই প্যাক্টে যোগদান করে।
১৯৩৭ চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল সাম্রাজ্যিক জাপান। সাংহাই, বেইজিং, ও নানজিং দখল করে নিল। রেপ অফ নানজিং।*
* এতে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিবাদ আছে, ধারণা করা হয় সংখ্যাটা প্রায় আড়াই লক্ষ থেকে ৯ লক্ষের মাঝামাঝি।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
ফরাসিদের কাছ থেকে ইন্দোচীন দখল করে জাপান।
১৯৪০ সাম্রাজ্যিক জাপান, নাৎসি জার্মানি, আর ফ্যাশিস্ত ইতালি গঠন করল ত্রিদলীয় ঐক্যজোট।
১৯৪১ সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে নিরপেক্ষতা চুক্তিতে সই করল সাম্রাজ্যিক জাপান। হাওয়াইয়ের পার্ল হারবারে অবস্থিত মার্কিন নৌবহরে হামলা চালাল সাম্রাজ্যিক জাপান, এর ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে মিত্রপক্ষে যোগদান করে।
১৯৪২ ফিলিপাইন্স, পূর্ব ইস্ট ইন্ডিয়া, বার্মা, ও মালয় সাম্রাজ্যিক জাপানের হস্তগত হল। মিডওয়ে যুদ্ধতে মার্কিনীদের হাতে পরাস্ত হল জাপানিরা। জাপানি সেনাবাহিনীকে তার সাপ্লাই লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার রণকৌশল হাতে নিল যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৪২-৪৫ জাপানে বিরতিহীন বোমাবর্ষণ শুরু করল মিত্রপক্ষ।
১৯৪৫ মার্চ টোকিওতে অগ্নিবোমাবর্ষণ শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র।
আগস্ট ৬ হিরোশিমাতে পারমাণবিক বোমা ফেলল যুক্তরাষ্ট্র।
আগস্ট ৮ জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
আগস্ট ৯ নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলল যুক্তরাষ্ট্র।
আগস্ট ১৫ মিত্রপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করল জাপান।*
* জাপানের শিন্টো ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, দেশটির রাজপরিবার সূর্য দেবী আমাতেরাসুর বংশধর, এবং তাদের সম্রাট অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। হিরোশিমা-নাগাসাকিতে এই বিশ্বাস বিরাট একটা ধাক্কা খায়। মিত্রপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণকারী সম্রাট হিরোহিতো স্বীকার করে নেন, তাঁর কোন অলৌকিক ক্ষমতা নেই।
সেপ্টেম্বর ১ জাপানে মিত্রপক্ষের দখলদারিত্বের পর্ব শুরু হল।** কোরিয়ায় জাপানি উপনিবেশিক শাসনের যুগ শেষ হল।
** জাপানকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরকারের অধীনস্ত করা হল, সাম্রাজ্যিক সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী বিলুপ্ত করা হল।
১৯৪৬ জাপানে “ম্যাকআর্থার শান্তি” সংবিধান প্রণয়ন করা হল, তবে পরের বছর থেকে কার্যকর হয়।
১৯৪৭ নতুন সংবিধান জাপানে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করল। জাপান প্রতিজ্ঞা করল, সে আর নিয়মিত সেনাবাহিনী গঠন করবে না, যুদ্ধ করবে না। যুদ্ধোত্তর জাপানের প্রথম নির্বাচন আয়োজিত হল।*
* ১৯৪৭ পরবর্তী জাপানে সম্রাট স্রেফ একটা আলঙ্করিক পদ, রাজপরিবার নিতান্তই ঐতিহ্যের স্বার্থে টিকে আছে।
১৯৫১ যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য সাবেক প্রতিপক্ষের সাথে সান ফ্রান্সিসকো শান্তি চুক্তি সাক্ষর করল জাপান। যুক্তরাষ্ট্র-জাপান পারস্পরিক নিরাপত্তা চুক্তি সই হল। তবে রাশিয়ার সাথে আজ পর্যন্ত কোন শান্তি চুক্তিতে সই করেনি জাপান।
১৯৫২ জাপানে মিত্রপক্ষের দখলদারিত্বের পর্ব শেষ হল। তবে ওকিনাওয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়ে গেল। জাপানের গণতান্ত্রিক যুগের সূচনা।
১৯৫৪ জুলাই ১ গঠন করা হল জাপান সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্সেস (জেএসডিএফ)।
১৯৫৫ জাপানে প্রতিষ্ঠিত হল রক্ষণশীল ও জাতীয়তাবাদী ডানপন্থী রাজনৈতিক দল লিবারেল-ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
১৯৫৬ জাতিসংঘে যোগ দিল জাপান।
১৯৬৪ জাপানের রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত হল অলিম্পিক গেমস।
১৯৭০ পারস্পরিক নিরাপত্তা চুক্তি সংশোধন করা হল।
১৯৭২ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ওকিনাওয়া ফিরে পেল জাপান।* জাপানের প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করলেন, দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হল। এর ধারাবাহিকতায় তাইওয়ানে নিজ দূতাবাস বন্ধ করে দিল জাপান।
* তবে ওকিনাওয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েই গেল।
১৯৮২ যুক্তরাষ্ট্রে নিজের প্রথম কারখানা খুলল জাপানের গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হোন্ডা।
১৯৮৯ সম্রাট হিরোহিতোর মৃত্যু, নতুন সম্রাট হলেন আকিহিতো।
১৯৯৩ আগস্ট ঐতিহাসিক কোনো বিবৃতি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চীনা ও কোরীয় নারীসহ প্রতিপক্ষের নারীদের ওপর সাম্রাজ্যিক জাপানি সেনাবাহিনীর চালানো পদ্ধতিগত ধর্ষণ-নির্যাতনের দায় স্বীকার করে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইল জাপান।
১৯৯৫ জাপানের কোবে অঞ্চলে দেখা দিল প্রলয়ঙ্করী হানশিন ভূমিকম্প। অম শিনরিকিয়ো কর্তৃক টোকিও সাবওয়েতে বিষাক্ত নার্ভ গ্যাস সারিন আক্রমণ, ১২ জনের মৃত্যু। ওকিনাওয়ায় এক মার্কিনী কর্তৃক এক জাপানি স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ায় দ্বীপ থেকে মার্কিনী বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি উঠল।
১৯৯৭ জাপানি অর্থনীতি তীব্র মন্দা পরিস্থিতিতে প্রবেশ করল।
১৯৯৮ নাগানোতে আয়োজিত হল শীতকালীন অলিম্পিক গেমস। জাপানে প্রতিষ্ঠিত হল মধ্য-বামপন্থী রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জাপান (ডিপিজে)।
১৯৯৯ ইবারাকি প্রিফেকচারের তোকাইমুরায় পারমাণবিক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু।
২০০০ হিরোহিতোর বিধবা সম্রাজ্ঞী দোওয়াগের নাগাকোর মৃত্যু।
২০০১ ৯/১১র জের ধরে আফগানিস্তানে হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র।
এপ্রিল জাপানের প্রধানমন্ত্রী হলেন এলডিপি’র জুনিচিরো কোইজুমি।
আগস্ট প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর তীব্র প্রতিবাদ উপেক্ষা করে বিতর্কিত ইয়াসুকিনি শ্রাইনে শ্রদ্ধানিবেদন করলেন জুনিচিরো কোইজুমি। এই শ্রাইনে জাপানের যুদ্ধ মৃতরা শায়িত আছেন। কিন্তু মৃতদের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধীরাও আছে।
অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল সফর করলেন জুনিচিরো কোইজুমি, উপনিবেশিক আমলে তার দেশের করা অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চাইলেন। মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন ইউ.এস.এস. গ্রিনভিলয়ের সাথে জাপানের এহিমে মারুর সংঘর্ষে ৯ জনের মৃত্যু। জাপানকে কুরিল দ্বীপপুঞ্জের শিকোতান ও হাকোমেই ফিরিয়ে দিতে সম্মত হল রাশিয়া।
আফগানিস্তান আগ্রাসনে জাতিসংঘের বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্সেসের জাহাজ পাঠাল জাপান।
২০০২ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়া সফর করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি। এ সময় উত্তর কোরিয়া স্বীকার করে, ১৯৭০য়ের দশক ও ১৯৮০য়ের দশকে তারা ১৩ জন জাপানি নাগরিককে অপহরণ করেছিল যাদের মধ্যে অন্তত ৪ জন বেঁচে আছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যৌথভাবে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ হল জাপান।
২০০৪ ইরাক আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করার জন্য সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্সেসের সেনা পাঠাল জাপান।
২০০৬ আফগানিস্তান আর ইরাক থেকে জাপানের সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্সেসের সব সেনা প্রত্যাহার করা হল।
সেপ্টেম্বর জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন শিনজো আবে।
ডিসেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মত একটি পূর্নাঙ্গ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাবকে অনুমোদন দিল ডায়েট।
২০০৭ এপ্রিল প্রথম চীনা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জাপানের সংসদে ভাষণ দিলেন ওয়েন জিয়াবাও, বললেন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে। সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শিনজো আবে। জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন ইয়াসুও ফুকুদা।
২০০৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ইয়াসুও ফুকুদা। নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো আসো।
নভেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাম্রাজ্যিক জাপানের ভূমিকার পক্ষে সাফাই গেয়ে নিবন্ধ লেখার দায়ে চাকরি হারালেন জাপানের বিমান বাহিনী প্রধান জেনারেল তোশিও তামোগামি।
আইনুদেরকে একটি স্বতন্ত্র জাতি ও সংস্কৃতি হিসাবে স্বীকৃতি দিল জাপান।
২০০৯ জাপানের সাধারণ নির্বাচনে মধ্য-বামপন্থী ডিপিজের ভূমিধবস বিজয়। দেশটিতে রক্ষণশীল-জাতীয়তাবাদী এলডিপির পাঁচদশকের একচ্ছত্র শাসনের অবসান। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন ডিপিজে’র ইউকিও হাতোয়ামা।
২০১০ ওকিনাওয়া মার্কিন বিমানঘাঁটি বন্ধ করে দিতে ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন হাতোয়ামা, নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন নাওতো কান।
জন ব্রিন আর মার্ক তিউয়েন, আ নিউ হিস্ট্রি অফ শিন্টো।
২০১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে জাপানকে প্রতিস্থাপিত করল চীন।
মার্চ ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়। ফুকুশিমা বিপর্যয়ের দায় মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নাওতো কান, নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন ইয়োশিহিকো নোদা।
২০১২ জুলাই জাপান ওহি পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর পুনরায় চালু করল।
আগস্ট লিয়ানকোর্ট রকসের ওপর জাপানেরও দাবি থাকায় প্রতিবাদ হিসাবে টোকিও সিউল থেকে নিজ রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিল।
সেপ্টেম্বর পূর্ব চীন সাগরের একগুচ্ছ দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাপানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ৪০ বছর পূর্তির উৎসব বাতিল করল চীন।*
* জাপান এই দ্বীপগুলোকে বলে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ। চীনের ভাষায় এগুলো হল দাইয়ু দ্বীপপুঞ্জ। দ্বীপগুলোর ওপর তাইওয়ানেরও দাবি আছে।
ডিসেম্বর দ্বিতীয় মেয়াদে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হলেন শিনজো আবে।
২০১৩ ডিসেম্বর জাপান তার দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপ ওকিনাওয়াতে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক বিমানঘাঁটি স্থানান্তরিত করাকে অনুমোদন দিল। জাপানি সংসদ একটি নতুন নিরাপত্তা বিধি প্রণয়ন করল ও সামরিক খাতে ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করল। বিশ্লেষকদের মতে, এটা চীনকে দেয়া একটি বার্তা।
২০১৪ জুলাই জাপানি সরকার তার নিরাপত্তা নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনল, যা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে, জাপানি সেনাবাহিনী তার সীমানার বাইরেও যুদ্ধ করতে পারবে।
২০১৫ আগস্ট নতুন নিরাপত্তা বিধির আলোকে সেন্দাই প্ল্যান্টে নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর পুনরায় চালু করল জাপান।
২০১৬ এপ্রিল জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের কিয়ুশু দ্বীপে দুটি ভূমিকম্পে ৪৪ জনের মৃত্যু, আহতের সংখ্যা ১০০০এরও বেশি, অন্তত ১ লক্ষ মানুষ গৃহহারা।
২০১৭ নভেম্বর জিবুতিতে নিজের সামরিক ঘাঁটি সম্প্রসারিত করল জাপান, পর্যবেক্ষকদের মতে এটা আফ্রিকায় চীনের একক প্রভাব হ্রাস করার প্রচেষ্টা।
২০১৯ এপ্রিল যুবরাজ নারুহিতোর জন্য সিংহাসন ছাড়লেন সম্রাট আকিহিতো।
২০২০ স্বাস্থ্যগত কারণ দর্শিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শিনজো আবে, দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।
২০২২ জুলাই ৮ গুপ্তঘাতকদের হাতে খুন হলেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
তথ্যসূত্র
BBC. 2019. “Japan profile – Timeline.” BBC, April 26.
https://www.bbc.com/news/world-asia-pacific-15219730
Cartwright, Mark. 2017. “Ancient Japan.” World History Encyclopedia. Last modified June 09, 2017. https://www.worldhistory.org/Ancient_Japan/.
— 2019a. “Samurai.” World History Encyclopedia. Last modified July 05, 2019. https://www.worldhistory.org/Samurai/.
— 2019b. “Shogun.” World History Encyclopedia. Last modified July 03, 2019. https://www.worldhistory.org/Shogun/.
— 2019c. “Azuchi-Momoyama Period.” World History Encyclopedia. Last modified June 25, 2019. https://www.worldhistory.org/Azuchi-Momoyama_Period/.
— 2019d. “Medieval Japan.” World History Encyclopedia. Last modified July 19, 2019. https://www.worldhistory.org/Medieval_Japan/.
Hardacre, Helen. 2016. Shinto: A History. New York: Oxford University Press.
Hoang, Tony. 2016a. “Jomon Period.” World History Encyclopedia. Last modified March 02, 2016. https://www.worldhistory.org/Jomon_Period/.
— 2016b. “Yayoi Period.” World History Encyclopedia. Last modified March 10, 2016. https://www.worldhistory.org/Yayoi_Period/.
Perez, Louis G. 2009. The History of Japan. 2nd ed. Westport, Connecticut: Greenwood.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি