
আইসল্যান্ড
Featured Image: Wikimedia Commons.

পূর্বসাল
৩২৫ গ্রিক অভিযাত্রিক পিথিয়াস তাঁর বিবরণে থুলে নামের একটি জায়গার কথা বললেন, অনেকে বিশ্বাস করেন এই থুলেই আইসল্যান্ড।
সাল
৭০১-৮০০ একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরের আরাধনা করা যাবে এমন একটি দূরবর্তী নির্জন স্থান খুঁজতে গিয়ে আইরিশ সন্ন্যাসীরা আইসল্যান্ড আবিষ্কার করেন। তবে তারা স্থায়ী বসতি স্থাপন করেননি। পরের শতাব্দীতে নরওয়ে, সুইডেন, ও ডেনমার্ক থেকে ভাইকিংদের আগমন শুরু হলে সন্ন্যাসীরা আইসল্যান্ড ছেড়ে চলে যান।
৮৭৪ আইসল্যান্ডের প্রথম স্থায়ী বসতি রিকজাভিক স্থাপন করলেন ইঙ্গোলফার আর্নারসন নামের এক ভাইকিং।*
* বর্তমানে আইসল্যান্ডের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর রিকজাভিক।
৮৭৪-৯৩০ আইসল্যান্ডে বসতি স্থাপনের যুগ।
৯৩০ আইসল্যান্ডের থিংভেলির শহরে একটি সংসদ আয়োজিত হল। আলথিং নামের এই সংসদ আইসল্যান্ডকে একটি সাধারণতন্ত্র হিশাবে প্রতিষ্ঠা করল। এই সুপ্রাচীন বিধানসভাটি আক্ষরিক অর্থেই হাজার বছর ধরে টিকে আছে।
৯৩০-১০৩০ আইসল্যান্ডে দুঃসাহসিক অভিযাত্রা আর বীরগাথার যুগ।
৯৮১ জনৈক খ্রিস্টান মিশনারি আইসল্যান্ডে ধর্মপ্রচার শুরু করলেন। পরবর্তী দুই দশকে বহু আইসল্যান্ডার খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। আলথিং রোমক ক্যাথলিক মতবাদকে স্বীকৃতি প্রদান করলে পরের পাঁচ শতাব্দী ক্যাথলিক চার্চ দেশটির সবচে ক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
৯৮৬ এরিক দ্য রেড একদল আইসল্যান্ডারকে নিয়ে গ্রিনল্যান্ডে গেলেন সেখানে বসতি স্থাপন করার জন্য।
১০২১ আইসল্যান্ডিক অভিযাত্রিক লেইফ এরিকসন আমেরিকা আবিষ্কার করেন।
১১০৪ হেকলা পর্বতে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত।
১১১৭-১৮ আইসল্যান্ডিক আইনগুলোকে প্রথম লিখিত রূপ দেয়া হল।
১২৬২ হেকলা অগ্নুৎপাতের ধকল সামলে উঠতে না পারায় ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দুর্বল হয়ে পড়ায় আইসল্যান্ড তার স্বাধীনতা হারাল। পরবর্তী ৬৮২ বছর দেশটি পরাধীন থাকে। এসময় আইসল্যান্ড শাসন করেন প্রথমে নরওয়ের রাজা, এরপর ডেনমার্কের রাজা।
১২৭১ আইসল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথমবারের মত একটি আইনের বই প্রকাশের উদ্যোগ নিলেন নরওয়ের রাজা ম্যাগনাস।
১৩৮০ দিনেমারদের অধীনে ইউনিয়ন গঠন করল নরওয়ে, ডেনমার্ক, আর আইসল্যান্ড।
১৪০১-১৫০০ মহামারীর কারণে আইসল্যান্ডের জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেল।
১৫৩৭ আইসল্যান্ডের নিয়ন্ত্রক ডেনমার্কের রাজা লুথারান খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হলেন।
১৫৪০ নয়া পুস্তক আইসল্যান্ডিক ভাষায় তর্জমা করা হল।
১৫৫০ ক্যাথলিক বিশপ জন আরাসনের শিরশ্ছেদ করা হল, এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে ক্যাথলিকদের ওপর লুথারানদের কর্তৃত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত হল।
১৫৮১ আথলিং লুথারান মতবাদকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিল, এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে ক্যাথলিক চার্চের পাঁচ শতাব্দীর আধিপত্যের অবসান ঘটলে।
১৬০২ দিনেমাররা আইসল্যান্ডের সর্বপ্রকার বাণিজ্যের ওপর একচেটিয়া কায়েম করল।
১৭০৩ আইসল্যান্ডে আধুনিক যুগের প্রথম আদমশুমারি পরিচালিত হল।
১৭৮৩-৮৪ লাকি পর্বতে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত।
১৮৭৪ ডেনমার্ক আইসল্যান্ডকে সীমিত আকারে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করল।
১৯০৪ আইসল্যান্ডে স্বরাজ প্রতিষ্ঠা।
১৯১১ স্থাপিত হল ইউনিভার্সিটি অফ আইসল্যান্ড।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৮ দিনেমারদের অধীনে আইসল্যান্ডকে পূর্ণ স্বশাসন দেয়া হল।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪০ জার্মানদের ডেনমার্ক দখল করে নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশরা আইসল্যান্ড দখল করে নিল।
১৯৪১ নাৎসি আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে আইসল্যান্ডের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৪৩ দিনেমারদের সাথে করা ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এল আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক তখনো নাৎসিদের কবলে আছে।
১৯৪৪ জুন ১৭ ডেনমার্কের সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করে আইসল্যান্ড নিজেকে একটি প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা করল। দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন ভেইন জর্নসন। একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হল।
১৯৪৬ জাতিসংঘে যোগ দিল আইসল্যান্ড।
১৯৪৯ ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একটি হল আইসল্যান্ড।
১৯৫১ আইসল্যান্ডের সামরিক প্রতিরক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করল যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৫৫ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন আইসল্যান্ডের হ্যালডোর নাক্সনেস।
১৯৬৩-৬৭ সার্তসে দ্বীপের জন্ম।
১৯৮০ আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ভিগডিস ফিনবোগডট্টির। তিনি গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জিতে রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া ইতিহাসের প্রথম নারী। ১৯৮৪, ১৯৮৮, ও ১৯৯২ সালে পুনর্নির্বাচিত হন ভিগডিস।
১৯৮৫ আইসল্যান্ড নিজেকে পারমাণবিক মুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করল।
১৯৮৬ মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান আর সোভিয়েত প্রিমিয়ার মিখাইল গর্বাচেভের মধ্যে একটি আলোচনা সভার স্থান হিসেবে আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিককে বাছাই করা হল।
১৯৯৬ ভাত্নাজোকুলের নিচে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত।
২০০৮ বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের ধাক্কায় আইসল্যান্ডের অর্থনীতির অবনতি।
২০০৯ ইওরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ লাভ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করল আইসল্যান্ড।
২০১০ সমকামী বিবাহ আইন পাশ করল আইসল্যান্ড।
২০১২ অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠল আইসল্যান্ড।
২০১৫ ইওরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তির আবেদন ফিরিয়ে নিল আইসল্যান্ড।
তথ্যসূত্র
BBC. 2022. “Iceland profile – Timeline.” BBC, December 5.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17386859
Deutsche Welle. 2015. “Iceland withdraws EU accession bid.” Deutsche Welle, March 12.
https://www.dw.com/en/iceland-withdraws-eu-accession-bid/a-18313183
Reuters. 2010. “Iceland passes gay marriage law in unanimous vote.” Reuters, June 11.
https://www.reuters.com/article/us-iceland-gaymarriage-idUSTRE65A3V020100611
Sandness, Roger K., and Gritzner, Charles F.. 2003. Iceland. Philadelphia: Chelsea House.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি