দমিনিকান প্রজাতন্ত্র

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Image: The Nations Online Project.

পূর্বসাল

৩০০০ আরাওয়াক আদিবাসীদের পূর্বপুরুষরা হিসপানিওলা দ্বীপে বসতিস্থাপন করল।

সাল

১৪৯২ হাইতি ও দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের আগমন।*
* তিনি দ্বীপটির নাম রাখেন হিসপানিওলা: “ছোট স্পেন।”

১৪৯৬ পশ্চিম গোলার্ধে প্রথম ইওরোপীয় বসতিস্থাপন করল স্পেন। বার্থালোমিউ কলম্বাস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল সাঁ দমিনগো। দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাজধানী।

১৫০৫ হিসপানিওলায় দাস হিসেবে প্রথম আফ্রিকানদের আগমন ঘটল।

১৫৩৮ প্রতিষ্ঠিত হল অটোনমিয়াস ইউনিভার্সিটি অফ সাঁ দমিনগো।

১৫৮৬ সাঁ দমিনগো দখল করলেন ব্রিটিশ জলদস্যু স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক।

১৬৯৭ রিজউইকের চুক্তি, হিসপানিওলার পশ্চিম অংশ ফ্রান্সের দখলে চলে গেল। এই পশ্চিম হিসপানিওলাই হচ্ছে আজকের হাইতি রাষ্ট্র। হিসপানিওলার পূর্ব অংশ, বর্তমান দমিনিকান প্রজাতন্ত্র, স্পেনের হাতে রয়ে গেল।

১৭৯৫ স্পেন হিসপানিওলার তার নিয়ন্ত্রণে থাকা অংশটুকুও ফ্রান্সের হাতে তুলে দিল।

১৮০৮ স্পেনীয় ক্রেওলদের বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে সাঁ দমিনগো পুনরায় নিয়ে নিল স্পেন।

১৮২১ স্পেনীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল সাঁ দমিনগো।

১৮২২ হাইতির প্রেসিডেন্ট জাঁ-পিয়েরে বোয়ের সাঁ দমিনগো দখল করতে সেনা পাঠালেন ও অঞ্চলটিকে হাইতির অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন।

১৮৩৬ লা ত্রিনিতারিয়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হুয়ান পাবলো দুয়ের্তের নেতৃত্বে হাইতির বিরুদ্ধে স্বাধীনতাসংগ্রাম শুরু করলেন দমিনিকীয়রা।

১৮৪৪ হাইতি থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল দমিনিকান প্রজাতন্ত্র।

১৮৪৮ হাইতি দমিনিকান প্রজাতন্ত্র দখলের একটা চেষ্টা চালাল, কিন্তু তাদেরকে দমিনিকীয়রা তাড়িয়ে দিতে পারল।

১৮৫৫ হাইতি আবার দমিনিকান প্রজাতন্ত্রকে দখল করে নিল।

১৮৬১-৬৩ প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সান্তানা দমিনিকান প্রজাতন্ত্রকে পুনরায় স্পেনীয় শাসনের অধীনস্ত করলেন।

১৮৬৩-৬৪ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে স্পেনীয় শাসনের চূড়ান্ত অবসান।

১৮৬৫ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হল।

১৮৬৯ মার্কিন ভূখণ্ড হওয়ার চেষ্টা চালাল দমিনিকান প্রজাতন্ত্র, মার্কিন সিনেটে এই প্রস্তাব মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে হেরে যায়।

১৮৮২ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ইউলিসিস হয়েরেক্স।

১৮৯৯ আততায়ীদের হাতে খুন হলেন প্রেসিডেন্ট ইউলিসিস হয়েরেক্স।

১৯০৬ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি ৫০ বছর মেয়াদী চুক্তি করল দমিনিকান প্রজাতন্ত্র।

১৯১৬-২৪ আভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার জের ধরে দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে মার্কিন দখলদারিত্ব।

১৯২৪ দমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে সেনা প্রত্যাহার করল মার্কিনীরা।

১৯২৯ হাইতি ও দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে একটি চুক্তি সই হল যা দুই দেশের মধ্যকার বর্তমান সীমান্তটি চিহ্নিত করল।

১৯৩০ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে প্রেসিডেন্ট হোরাশিও ভাস্কেজকে উৎখাত করে ব্যক্তিগত একনায়কতন্ত্র কায়েম করলেন জেনারেল রাফায়েল লিওনিডাস ত্রুজিলো মলিনা। হারিকেন সান জেননের আক্রমণে ২০০০ মানুষের মৃত্যু।

১৯৩৭ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সেনাবাহিনীর হাতে সেই দেশটিতে অবস্থানরত ১৭-৩৫ হাজার হাইতিবাসী হত্যাযজ্ঞের শিকার হলেন।

১৯৬০ অর্গানাইজেশন অফ আমেরিকান স্টেটস (ওএএস) দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা বিষয়ক একটি প্রস্তাব গ্রহণ করল।

১৯৬১ গুপ্তঘাতকদের হাতে খুন হয়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট ত্রুজিলো।

১৯৬২ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে প্রায় চার দশকের মধ্যে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হলেন বামপন্থী দমিনিকান রেভল্যুশনারি পার্টির (পিআরডি) প্রতিষ্ঠাতা জন বশ।

১৯৬৩ এক সামরিক ক্যুদেতায় ক্ষমতাচ্যুত হলেন জন বশ।

১৯৬৫ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে জন বশপন্থী গণঅভ্যুত্থান দমাতে দেশটিতে ৩০,০০০ সেনা প্রেরণ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৬৬ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হলেন রিফর্মিস্ট পার্টির সাবেক নেতা জোয়াকিন বালাগের।*
* রিফর্মিস্ট পার্টি পরবর্তীতে মধ্য-ডানপন্থী ক্রিশ্চিয়ান সোশাল রিফর্ম পার্টির (পিআরএসসি) রূপ নেবে।

১৯৭২ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের তাভেরা বাঁধের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হল।

১৯৭৮ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হলেন পিআরডি’র সিলভেস্ত্রে আন্তোনিও গুজমান। তিনি ক্ষমতায় এসে ২০০ রাজবন্দীকে মুক্তি দেন এবং গণমাধ্যমের ওপর থাকা বিধিনিষেধ শিথিল করেন। দেশটির সেনাবাহিনী থেকে বালাগারপন্থীদের পার্জ করেন গুজমান।

১৯৭৯ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে এ বছর দুটি হারিকেনের দরুন ২ লক্ষ মানুষ গৃহহারা হন।

১৯৮২ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হলেন পিআরডির জর্জ ব্লাঙ্কো।

১৯৮৩ প্রথম দমিনিকীয় হিসেবে বেজবলের হল অফ ফেমে জায়গা করে নিলেন হুয়ান মারিচাল।

১৯৮৫ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রস্তাবিত কৃচ্ছসাধন নীতিকে কেন্দ্র করে দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে ব্যাপক গণ অসন্তোষ দেখা দিল।

১৯৮৬, ১৯৯০, ১৯৯৪ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা কয়েকবার নির্বাচিত হলেন মধ্য-ডানপন্থী ক্রিশ্চিয়ান সোশাল রিফর্ম পার্টির (পিআরএসসি) জোয়াকিন বালাগার।

১৯৯৬ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হলেন দ্য দমিনিকান লিবারেশন পার্টির (পিএলডি) লিওনেল ফার্নান্দেজ রেয়না।

১৯৯৮ হারিকেন জর্জেসের হামলার শিকার হল দমিনিকান প্রজাতন্ত্র।

২০০০ হিপোলিতো মেজিয়ার নেতৃত্বে দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে ক্ষমতায় ফিরল পিআরডি। দেশটিতে সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালু করা হল।

২০০২ জোয়াকিন বালাগারের মৃত্যু।

২০০৪, ২০০৮ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে টানা দুইবার প্রেসিডেন্ট হলেন লিওনেল ফার্নান্দেজ রেয়না।

২০০৭ সেন্ট্রাল আমেরিকা-দমিনিকান রিপাবলিক ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (সাফটা-ডিআর) বিধিবদ্ধ করা হল।

২০১২, ২০১৬ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে টানা দুইবার প্রেসিডেন্ট হলেন দানিলো মেদিনা।

২০১৮ তাইওয়ানের সাথে সুদীর্ঘ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করল দমিনিকান প্রজাতন্ত্র।

২০২০ দমিনিকান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হলেন লুই আবিনাডার।

তথ্যসূত্র

BBC. 2018. “Dominican Republic profile – Timeline.” BBC, May 16.
https://www.bbc.com/news/world-latin-america-19343656

Phillips, Douglas A. 2010. Dominican Republic. New York: Chelsea House.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *