ডেনমার্ক

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Images: Perry-Castañeda Library Map Collection, The University of Texas at Austin.

পূর্বসাল

৩০০০ ডেনমার্কে কৃষিকাজ শুরু।

সাল

৪০০-৭০ ডেনমার্কে নাগরিক সভ্যতার বিকাশ ঘটা শুরু করে।

৭৯৩ ভাইকিং যুগের সূচনা।

৮৬৬-৬৭ দিনেমার ভাইকিংরা ইয়র্ক জয় করে, যা ভাইকিং ইংল্যান্ডের রাজধানীতে পরিণত হয়।

৯০১-১০০০ ডেনমার্ক রাজ্যের একীভূতকরণ ও খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তন, একই সময়ে গ্রিনল্যান্ডেও খ্রিস্টধর্ম প্রবর্তিত হয়।

৯৬৫ দিনেমার রাজা হারাল্ড ব্লুটুথ খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হলেন।

৯৮২ নরওয়েজীয় এরিক দ্য রেড কর্তৃক আবিষ্কৃত হল গ্রিনল্যান্ড।

১০০০ এরিক দ্য রেডের ছেলে লেইফ এরিকসন গ্রিনল্যান্ড থেকে এক অভিযাত্রায় বেরিয়ে আমেরিকা আবিষ্কার করলেন।

১০১৫-৩৪ এ সময় ইংল্যান্ডে চলছে দিনেমার শাসন।

১০২৮ নরওয়ে আক্রমণ করলেন ডেনমার্কের রাজা ক্যানুট।

১৩৮০ ডেনমার্ক ও নরওয়ের রাজা হলেন ষষ্ঠ ওলাভ।

১৩৯৭ ডেনমার্কের রানী মার্গারেটের নেতৃত্বে কালমার ইউনিয়ন ডেনমার্ক, সুইডেন আর নরওয়েকে একীভূত করল।

১৪৭৯ স্থাপিত হল কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়।

১৫২৩ কালমার ইউনিয়নের অবসান।

১৫৩৪ ডেনমার্ক ও নরওয়ের রাজা হলেন তৃতীয় ক্রিশ্চান।

১৫৩৬ নরওয়েকে একটা ডিপেন্ডেন্সিতে পরিণত করল ডেনমার্ক।

১৬০০ এ সময়ের মধ্যে গ্রিনল্যান্ডের* সব নর্স বসতি উধাও হয়ে গেল, দেশটিতে শুধু ইন্যুটরা বাস করছেন।**
* গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের অংশ, কোন স্বাধীন রাষ্ট্র নয়।
* এককালে ইন্যুটদের এস্কিমো বলা হত। কিন্তু এস্কিমো শব্দটাকে ইন্যুটরা অপমানজনক মনে করেন। তাই বর্তমানে ইন্যুট বলা হয়।

১৬০৬ আইসল্যান্ডের সর্বপ্রকার বাণিজ্যের ওপর একচেটিয়া কায়েম করল দিনেমাররা।

১৬৬০-৬১ ডেনমার্কে রাজার নিরঙ্কুশ শাসন কায়েম করা হল।

১৬৬৬-১৯১৭ এ সময় কয়েকটি ক্যারিবীয় দ্বীপ দিনেমার উপনিবেশ ছিল।

১৭২৯ গ্রিনল্যান্ড একটা দিনেমার প্রদেশে পরিণত হল।

১৭৭৬ গ্রিনল্যান্ডের সাথে বাণিজ্যে একচেটিয়া কায়েম করল দিনেমার সরকার।

১৮১৪ দিনেমাররা নরওয়েকে সুইডিশদের হাতে তুলে দিল। ডেনমার্কে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হল।

১৮৪৮-৫১ দিনেমার-জার্মান যুদ্ধ, এই যুদ্ধে ডেনমার্ক জয়লাভ করে। ডেনমার্কে এ সময় নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের অবসান ঘটান হয়। দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিক সংবিধানও এ সময়ই প্রণীত।

১৮৪৯ ডেনমার্ককে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ঘোষণা করা হল।

১৮৭৪ আইসল্যান্ডকে সীমিত আকারে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করল ডেনমার্ক।

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

১৯১৪ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিরপেক্ষতা নীতি ঘোষণা করল ডেনমার্ক।

১৯১৮ ডেনমার্কের নাগরিকরা সর্বজনীন ভোটাধিকার লাভ করলেন।

১৯৩০-৩৯ সমাজ গণতন্ত্রীরা ডেনমার্কে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেন।

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৩৯ নাৎসি জার্মানির সাথে দশ বছরের জন্য অনাগ্রাসন চুক্তি সই করল ডেনমার্ক।

১৯৪০-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডেনমার্ক নাৎসি দখলদারিত্বে ছিল। যুদ্ধকালীন সময়ে গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তার দায়ভার গ্রহণ করল যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৪০ ডেনমার্কে আগ্রাসন চালাল নাৎসি জার্মানি।

১৯৪৩ নাৎসিদের হাতে গণহত্যার শিকার হওয়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য কয়েক হাজার দিনেমার ইহুদি সুইডেনে আশ্রয় নিলেন।

১৯৪৪ আইসল্যান্ড ডেনমার্কের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল।

১৯৪৫ আইসল্যান্ডের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিল ডেনমার্ক। জার্মানির আত্মসমর্পণ। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগুলোর একটি হল ডেনমার্ক।

১৯৪৮ দিনেমাররা ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করল।

১৯৪৯ ন্যাটোতে যোগ দিল ডেনমার্ক।

১৯৫২ ডেনমার্কের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হল নর্ডিক কাউন্সিল।

১৯৫৩ গ্রিনল্যান্ডকে ডেনমার্কের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা করা হল। থুলেতে মার্কিন বিমানঘাঁটি তৈরি করার জন্য ইন্যুট শিকারীদের তাদের সুপ্রাচীন নিবাসভূমি থেকে তাড়িয়ে দিল ডেনমার্ক সরকার।

১৯৭৩ জানুয়ারি ১ ইওরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ে (ইইসি) যোগ দিল ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ড।

১৯৭৯ গ্রিনল্যান্ডকে স্বরাজ প্রদান করা হল, তবে দেশটির প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয়াদির ওপর দিনেমারদের নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকল।

১৯৮২ গ্রিনল্যান্ডবাসী গণভোটে ইইসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিলেন।

১৯৮৫ ইইসি থেকে বেরিয়ে আসল গ্রিনল্যান্ড।

১৯৮৯ গ্রিনল্যান্ডে স্বর্ণের বিশাল মজুত আবিষ্কৃত হল।

১৯৯৯ ডেনমার্কের হাই কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে বলল, ১৯৫৩ সালে ইন্যুটদের তাঁদের ভূমি থেকে নির্বাসিত করাটা অবৈধ ছিল।

২০০০ লেইফ এরিকসনের উত্তর আমেরিকা অভিযাত্রার ১০০০ বছর উদযাপন করল গ্রিনল্যান্ড।

২০০১ ডেনমার্কে অ্যান্ডার্স ফঘ রাসমুসেনের নেতৃত্বে ডানপন্থীদের একটি জোট ক্ষমতায় এল। এই নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থী ড্যানিশ পিপলস পার্টি (ডিপিপি) ২২টি আসন জেতে। সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলে পরিণত হয়।

মার্চ ২৫ শেনগেন জোনে যোগ দিল ডেনমার্ক।

২০০৪ গ্রিনল্যান্ডের থুলে বিমানঘাঁটির আধুনিকায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটা চুক্তি সই করল ডেনমার্ক।

২০০৫ আর্কটিকের ছোট্ট দ্বীপ হ্যান্স নিয়ে ক্যানাডার সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ল ডেনমার্ক। জিল্যান্ডস-পোস্টেন নামের একটি দিনেমার পত্রিকায় ইসলামের নবি হযরত মুহাম্মদকে (সা) নিয়ে বিতর্কিত কার্টুন ছাপা হল। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলেন অ্যান্ডার্স ফঘ রাসমুসেন।

২০০৭ তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী হলেন অ্যান্ডার্স ফঘ রাসমুসেন।

২০০৮ গ্রিনল্যান্ডবাসী গণভোটে অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে ভোট দিলেন।

২০০৯ গ্রিনল্যান্ডে সংসদীয় নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এল বামপন্থী রাজনৈতিক দল ইন্যুট আতাকাতিগিত।

২০১০ এ সময় নাগাদ গ্রিনল্যান্ডের বরফ অতীতের চেয়ে দ্রুত হারে গলতে শুরু করেছে, যা সমুদ্রসীমার উচ্চতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।

২০১১ ডেনমার্কের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন হেলে থর্নিং-স্মিড।

২০১২ জুন ডেনমার্কে সমকামী বিবাহকে আইনী বৈধতা দেয়া হল।

২০১৩ গ্রিনল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন আলেকা হ্যামন্ড।

২০১৪ উপনিবেশিক আমলে ডেনমার্ক কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিল গ্রিনল্যান্ড সরকার।*
*এসব অপরাধের মধ্যে ঘৃণ্যতমটি ছিল ইন্যুট শিশুদের তাদের পরিবারের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে দিনেমারদের হাতে তুলে দেয়া।

২০১৭ ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে এক খ্রিস্টান ও পাঁচ মুসলমান প্রচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ডেনমার্ক।

২০১৮ মুখ ঢাকা থাকে এমন পোষাক প্রকাশ্য স্থানে পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ডেনমার্ক।

২০১৯ জুন মেটে ফ্রেডেরিকসেনের নেতৃত্বে ক্ষমতায় ফিরল সমাজ গণতন্ত্রীরা।

২০২১ গ্রিনল্যান্ডে সংসদীয় নির্বাচনে জিতল বামপন্থী ইন্যুট আতাকাতিগিত।

২০২৪ পুত্র দশম ফ্রেডরিখের জন্য সিংহাসন ছাড়লেন রানী মার্গারেট।

তথ্যসূত্র

BBC. 2022. “Denmark profile – Timeline.” BBC, October 18.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17930409
2015. “Greenland profile – Timeline.” BBC, February 19.
https://www.bbc.com/news/world-europe-18249815
2025. “Denmark country profile.” BBC, January 8.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17929661

European Union. n.d. “Denmark – EU Country Profile | European Union.” Accessed February 22, 2025.
https://european-union.europa.eu/principles-countries-history/eu-countries/denmark_en

The Official Website of Denmark. 2022. “The history of Denmark.” Accessed June 1, 2022.
https://denmark.dk/people-and-culture/history

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *