Featured Image: Wikimedia Commons.
সাল
১৫৯৬ প্রথম ইওরোপীয় হিসেবে কুক দ্বীপপুঞ্জ পরিদর্শন করলেন স্পেনের আলভারো দে মেন্দানা।
১৭৭৩ দ্বীপপুঞ্জটিতে একটি অভিযাত্রা চালালেন কাপ্তান জেমস কুক। নাম রাখলেন হার্ভে দ্বীপপুঞ্জ। পাঁচ দশক পরে কুকের নামে দ্বীপপুঞ্জটির নাম নতুনভাবে রাখা হবে।
১৮২১ হার্ভে দ্বীপপুঞ্জে ইংরেজ ও তাহিতীয় ধর্মপ্রচারকদের আগমন।
১৮৮৮ কুক দ্বীপপুঞ্জকে একটি ব্রিটিশ প্রটেক্টরেট ঘোষণা করা হল এবং একটি একক ফেডারেল সংসদ স্থাপন করা হল।
১৯০১ কুক দ্বীপপুঞ্জকে নিজ সীমানাভুক্ত করে নিল নিউজিল্যান্ড।
১৯৪৬ কুক দ্বীপপুঞ্জে একটি আইনসভা পরিষদ গঠন করা হল। ১৯১২ সালের পর প্রথমবারের মত দ্বীপপুঞ্জটি প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্ব পেল।
১৯৬৫ আগস্ট ৫: নিউজিল্যান্ডের সাথে মুক্ত সম্পর্কে থাকা একটি স্বশাসিত ভূখণ্ডে পরিণত হল কুক দ্বীপপুঞ্জ। দ্বীপপুঞ্জের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন কুক দ্বীপপুঞ্জ দলের নেতা আলবার্ট হেনরি।
১৯৭৪ কুক দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী আলবার্ট হেনরিকে নাইটিহুড প্রদান করলেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এবছর থেকে কুক দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা নিয়মিত ব্রিটিশ সাধারণতন্ত্রের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আসছে।
১৯৭৯ নিজ দেশে নির্বাচনী জালিয়াতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় হেনরির নাইটহুড বাতিল করা হল।
১৯৮১ সংবিধান সংশোধন করা হল। সংসদীয় আসন ২২ থেকে বাড়িয়ে ২৪ করা হল। সংসদের মেয়াদ ৪ বছরের জায়গায় ৫ বছর করা হল।
১৯৮৫ ‘রারোটোঙ্গা চুক্তি’ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি পারমাণবিক-মুক্ত জোন তৈরি করার চুক্তি সই হল।
১৯৯৭ নভেম্বর: ঘূর্ণিঝড় মার্টিনে অন্তত ৬ জন মানুষের মৃত্যু। ৮০% ভবন বিধবস্ত। দ্বীপপুঞ্জটির কালো মুক্তা শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হল।
২০০২ দ্বিতীয়বারের মত অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় সরকার থেকে ছিটকে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী তেরেপাই মাওআতে।
২০০৪ এপ্রিল: চীন সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী রবার্ট উনটন। ওয়েন জিয়াবাও’য়ের কাছ থেকে ১৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের উন্নয়ন সহযোগিতা পেলেন। সেপ্টেম্বর: সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতল ক্ষমতাসীন গণতন্ত্রী দল। মাত্র ৪ ভোটের ব্যবধানে নিজের আসন ধরে রাখতে সক্ষম হলেন প্রধানমন্ত্রী উনটন। ডিসেম্বর: ভোট পুনর্গণনায় জানা গেল সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে উনটন আর তাঁর চ্যালেঞ্জার সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন। উচ্চ আদালত by-election আয়োজন করার হুকুম দিল। নতুন প্রিমিয়ার হিসেবে শপথ নিলেন জিম মারুরাই।
২০০৫ ফেব্রুয়ারি-মার্চ: কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা চারটি ঘূর্ণিঝড়ে কুক দ্বীপপুঞ্জের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হল।
অর্থ পাচার প্রতিরোধ নীতি অতি দুর্বল বিবেচিত হয় এমন ভূখণ্ডগুলোর একটি আন্তর্জাতিক তালিকা থেকে কুক দ্বীপপুঞ্জের নাম সরিয়ে ফেলা হল।
২০০৬ সেপ্টেম্বর: নির্বাচনে সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখল গণতন্ত্রী দল।
২০১০ নভেম্বর: নির্বাচনে জিতল কুক দ্বীপপুঞ্জ দল। সংসদের আকার ছোট করে আনার প্রস্তাব এক গণভোটে খারিজ হয়ে গেল।
২০১৩ এপ্রিল: ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে ফাঁস করে দেয়া তথ্য থেকে জানা গেল, হাজার হাজার কোম্পানি কুক দ্বীপপুঞ্জের মত জায়গাগুলার অফশোরে টাকা লুকাচ্ছে।
২০১৪ জুলাই: ক্ষমতাসীন কুক দ্বীপপুঞ্জ দল সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা বহাল রাখল। সেপ্টেম্বর আদালতের এক সিদ্ধান্তের ফল হিসেবে কুক দ্বীপপুঞ্জ দল তার সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল। ফলে সংসদ ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিল।
২০১৫ এপ্রিল: ক্ষমতাসীন কুক দ্বীপপুঞ্জ দল গুরুত্বপূর্ণ ভাইপাই-তাউতু by-election জিতে সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে সমর্থ হলেন। উইলকি রাসমুসেনের স্থলে বিরোধী গণতন্ত্রী দলের নেতা নির্বাচিত হলেন উইলিয়াম হিদার।
মে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) জানাল, আনুষ্ঠানিকভাবে দুনিয়ার সবচে বেশি মোটা মানুষের দেশ কুক দ্বীপপুঞ্জ, যেখানে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি ওবেস হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছেন।
২০১৭ আগস্ট: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৪ লক্ষ ১১ হাজার বর্গমাইল এলাকা জুড়ে দুনিয়ার সবচে বড় মেরিন রিজার্ভ উদ্বোধন করল কুক দ্বীপপুঞ্জ।
তথ্যসূত্র
BBC. “Cook Islands profile – Timeline.” BBC, January 9, 2018.
https://www.bbc.com/news/world-asia-pacific-16495600
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি