ভুটান

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ

পূর্বসাল

২০০০-১৫০০ এ সময় ভুটানে বাস করছেন যাযাবর পশুপালকেরা।

সাল

৬০১-৭০০ ভুটানে প্রবর্তিত হল বৌদ্ধধর্ম।

৬৫৯ এসময় ভুটানের প্রথম বৌদ্ধ মন্দিরগুলো নির্মিত হচ্ছে।

৭৪৭ তিব্বত থেকে ভুটানে এলেন গুরু পদ্মসম্ভব। যিনি রিনপোছে নামেও পরিচিত। ভুটানিরা তাঁকেও ‘বুদ্ধ’ হিসেবে দেখে থাকে।

৮০১-৯০০ ধর্মীয় নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে তিব্বত থেকে পালিয়ে ভুটানে আশ্রয় নিলেন বৌদ্ধরা।

১৬২৯ ভুটানের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঝাবদ্রুং গাওয়াং নামগিয়ালকে স্বীকৃতি দিল তিব্বত।

১৭৭২ বর্তমান ভারতের কোচবিহারে হামলা চালিয়ে তার রাজাকে অপহরণ করল ভুটান। মুক্তিপণ প্রদানে কোচবিহারকে সহায়তা করতে রাজি হল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

১৮৬৫ ডুয়ার্স নিয়ে ব্রিটিশদের সাথে ভুটানিদের যুদ্ধ।

১৯০৭ ভুটানের বংশানুক্রমিক রাজা মনোনীত হলেন উগওয়েন ওয়াংচুক।

১৯১০ ভুটানিদের সাথে ব্রিটিশরা একটা চুক্তি করল যা ভুটানের বৈদেশিক সম্পর্ক ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে রাখল।

১৯৪৯ ভুটানের সাথে চুক্তি করল সদ্যস্বাধীন ভারত। ঠিক হল, দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না ভারতীয়রা। তবে বৈদেশিক সম্পর্কের ওপর নয়া দিল্লির প্রভাব থাকবে।

১৯৫২ ভুটানের রাজা হলেন সংস্কারপন্থী জিগমে দর্জি ওয়াংচুক, প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি দেশটির জাতীয় সংসদ।

১৯৫৮ ভুটানে দাসপ্রথা বিলুপ্ত করা হল।

১৯৫৯ চীন তিব্বত দখল করে নিলে পরে কয়েক হাজার তিব্বতি শরণার্থীকে আশ্রয় দিল ভুটান।

১৯৬৮ ভুটানে প্রথমবারের মত মন্ত্রীসভা গঠন করা হল।

১৯৭১ জাতিসংঘে যোগ দিল ভুটান।

১৯৭২ রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুকের মৃত্যুতে ভুটানের নতুন রাজা হলেন তাঁর ছেলে জিগমে সিংগে ওয়াংচুক, সতর্কভাবে ভুটানের আধুনিকীকরণের কাজ চালিয়ে গেলেন তিনি।

১৯৭৪ পর্যটকরা প্রথমবারের মত ভুটান সফরের অনুমতি পেলেন।

১৯৭৮ নারি রুস্তমজি, ভুটান: দ্য ড্রাগন কিংডম ইন ক্রাইসিস

১৯৮৬ ভুটানে একটি নতুন নাগরিকত্ব আইন পাশ করা হল।

১৯৮৮ ভুটানে একটি আদমশুমারির কারণে দেশটির জাতিগত নেপালিদেরকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা শুরু হল। সরকার তিব্বতভিত্তিক ভুটানি সংস্কৃতিকে উৎসাহ দিতে লাগল। এতে জাতিগত সংখ্যালঘু নেপালিরা ক্ষুব্ধ হলেন।

১৯৮৯ ভুটানের স্কুলগুলোতে নেপালিতে পাঠদান নিষিদ্ধ করা হল।

১৯৯০ দক্ষিণ ভুটানে ভয়াবহ জাতিগত সহিংসতা দেখা দিল। ভুটান পিপলস পার্টি জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংস প্রচারাভিযান শুরু করল। জানের ভয়ে হাজার হাজার জাতিগত সংখ্যালঘু নেপালি নেপালে পালিয়ে গেলেন।

১৯৯২ ভুটান পিপলস পার্টির নেতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হল।

১৯৯৩ শরণার্থী সংকট নিরসনে সচেষ্ট হল নেপাল ও ভুটান।

১৯৯৭ দক্ষিণ ভুটানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

১৯৯৯ ভুটানে সীমিত পরিসরে টেলিভিশন ও ইন্টারনেট সেবা চালু করা হল।

২০০০ থিম্পুতে ভুটানের প্রথম সাইবার ক্যাফে চালু হল।

২০০১ প্রায় ১ লক্ষ জাতিগত সংখ্যালঘু নেপালি দাবি করলেন আগের দুই দশকে তাদেরকে ভুটান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

২০০২ ভারতের আসাম রাজ্য দাবি করল, ভুটানে দুটি বিদ্রোহী সংগঠনের শিবির এখনো চালু আছে।

২০০৩ ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ভুটান সেনাবাহিনীর যুদ্ধ।

২০০৬ ভুটানের সিংহাসনত্যাগ করলেন রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুক।

২০০৭ ভারতের সাথে একটা ঐতিহাসিক চুক্তি করল ভুটান। এতে ভুটানের ওপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পেল। বিশেষ করে, বৈদেশিক সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে।

২০০৮ নভেম্বর ভুটানের রাজা হলেন জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক।

২০০৯ এপ্রিল হুয়াংলংবিং ভাইরাস চাষকৃত কমলার অধিকাংশই নষ্ট করে দিয়ে কমলা চাষীদের বিরাট ক্ষতি করল।*
* ভুটানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রফতানি দ্রব্য কমলা।

২০১১ অক্টোবর রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী জেতসুন পেমাকে বিয়ে করলেন।

২০১৩ জুলাই সংসদীয় নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)।

আগস্ট ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বললেন, দেশটির বিখ্যাত Gross National Happiness (GNH) ধারণাটি অতিব্যবহৃত। এটি দেশের বাস্তব সমস্যাগুলো আড়াল করে রাখছে; যার মধ্যে রয়েছে ক্রমবর্ধমাণ ঋণ, বেকারত্ব সংকট, দারিদ্র্য, আর দুর্নীতি।

কার্মা ফুনত্-শো, দ্য হিস্ট্রি অফ ভুটান

২০১৫ জানুয়ারি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সাথে ভারতে সাক্ষাৎ করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

২০১৬ ফেব্রুয়ারি রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও রানী জেতসুন পেমা যুবরাজ জিগমে নামগেল ওয়াংচুকের জন্ম সংবাদ ঘোষণা করলেন।

২০১৭ জুন বিতর্কিত ভূখণ্ডে চীন কর্তৃক সড়ক নির্মাণের প্রতিবাদ জানাল ভুটান।

তথ্যসূত্র

BBC. 2018. “Bhutan profile – Timeline.” BBC, February 14.
https://www.bbc.com/news/world-south-asia-12641778

Sutori. n.d. “Bhutan Timeline.” Accessed August 4, 2023.
https://www.sutori.com/en/story/bhutan-timeline–rCmTU614cyy1y9ZGYBra13aA

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *