
অস্ট্রেলিয়া
Featured Image: Wikimedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ
সাল
১৪০১-১৫০০ জাভা, তিমুর, এবং ইন্দোনেশীয় দ্বীপপুঞ্জের অন্যান্য জায়গা থেকে চীনা বণিকরা সম্ভবত এসময়ই উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় আসেন।
১৬০৩-৫৯ ওলন্দাজ অভিযাত্রিক আবেল ইয়ান্সজুন তাসমানের জীবনকাল।
১৬০৬ প্রথম ইওরোপীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখলেন ওলন্দাজ অভিযাত্রিক উইলিয়াম ইয়ান্সজুন। স্পেনীয় অভিযাত্রিক লুই ভায়েজ দে টোরে অস্ট্রেলিয়ার আর নিউ গিনির মধ্যবর্তী পথটুকু জলপথে পাড়ি দিলেন। জায়গাটির বর্তমান নাম তাঁর নাম থেকে এসেছে।
১৬১৬ অস্ট্রেলিয়ায় জাহাজে করে ওলন্দাজদের আগমন শুরু হল।
১৬২২ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় ট্রিয়াল রকসের কাছে ধ্বংস হয়ে গেল ব্রিটিশ জাহাজ ট্রিয়াল।
১৬৪২ আবেল ইয়ান্সজুন তাসমান আবিষ্কার করলেন তাসমানিয়া। দ্বীপটির বর্তমান নাম দৃশ্যমানভাবেই তাঁর নাম থেকে এসেছে। যদিও তিনি নাম দিয়েছিলেন ভ্যান দিয়েমেনের দ্বীপ।
১৬৪৪ আবেল ইয়ান্সজুন তাসমান অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের ভূখণ্ডগুলোর নাম দিলেন নিউ হল্যান্ড। তিনি দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলের তিন চতুর্থাংশের বর্ণনাচিত্র তৈরি করলেন।
১৬৫১-১৭১৫ ব্রিটিশ জলদস্যু উইলিয়াম ডাম্পিয়ারের জীবনকাল।
১৬৭২ ব্রিটেনের রাজকীয় নৌবাহিনীতে নাম লেখালেন উইলিয়াম ডাম্পিয়ার।
১৬৮৭ প্রথম ফরাসি হিসেবে জাহাজ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করলেন কাপ্তান আব্রাহাম দুকেজনে-গুইতো।
১৬৮৮ ব্রিটিশ জলদস্যু উইলিয়াম ডাম্পিয়ার সিগনেট নামের একটা ব্রিটিশ প্রাইভেটারে* চড়ে প্রথমবারের মত নিউ হল্যান্ডে আসলেন।
* শত্রুজাহাজ আক্রমণ ও লুঠের অধিকারপ্রাপ্ত বেসরকারি জাহাজ।
১৬৯৯ এইচএমবিএস রোয়েবাকয়ে চড়ে দ্বিতীয়বারের মত নিউ হল্যান্ডে আসলেন উইলিয়াম ডাম্পিয়ার।
১৭০১ ডুবে গেল এইচএমবিএস রোয়েবাক।
১৭০২ এইচএমবিএস রোয়েবাক ডুবে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে তদন্ত শুরু হল, উইলিয়াম ডাম্পিয়ারের কোর্টমার্শাল।
১৭০৮ উইলিয়াম ডাম্পিয়ারের তৃতীয় ও জীবনের শেষ অভিযাত্রা।
১৭২০ এসময়ই কখনো মাকাসান ত্রেপাং শিকারীরা অস্ট্রেলিয়ায় আসে।
১৭২৮-৭৯ ব্রিটিশ জলদস্যু জেমস কুকের জীবনকাল।
১৭৭০ অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের বর্ণনাচিত্র প্রস্তুত করলেন কাপ্তান জেমস কুক। আসলেন বোটানি বেতে। পজেশন দ্বীপে গ্রেট ব্রিটেনের নামে অস্ট্রেলিয়া দখল করলেন।
নতুন ব্রিটিশ উপনিবেশটির নাম রাখলেন নিউ সাউথ ওয়েলস।
১৭৭২ জলপথে অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে আসলেন ফরাসি কাপ্তান ফ্রাঁসোয়া দে সাঁ-আলোউরান। দির্ক হারতোগ দ্বীপে হাজির হলেন। নিউ হল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চল ফ্রান্সের জন্য দাবি করলেন। তাসমানিয়ায় হাজির হলেন আরেক ফরাসি কাপ্তান মার্ক-জোসেফ মারিয়ন দুফ্রেজনে। তাঁর নাবিকরা একজন অ্যাবোরিজিনীয় ব্যক্তিকে খুন করলেন। দেশটির আদিবাসীদের ওপর উপনিবেশিক শক্তির প্রথম হামলা।
১৭৭৪-১৮১৪ ইংরেজ নাবিক ম্যাথু ফ্লিন্ডার্সের জীবনকাল।
১৭৭৬ আমেরিকান বিপ্লব ব্রিটেনকে বাধ্য করে শাস্তিমূলক উপনিবেশ তৈরি করার জন্য নতুন ভূখণ্ড খুঁজতে, কাপ্তান কুকের সহচর জোসেফ ব্যাংকস বোটানি বে’র নাম প্রস্তাব করলেন।
১৭৮৬ ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় জর্জ বোটানি বে’কে তাঁর দেশের নতুন শাস্তিমূলক উপনিবেশ বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।
১৭৮৮ জানুয়ারি ২৬ ব্রিটিশরা সিডনির পত্তন ঘটাল। প্রশাসক আর্থার ফিলিপের নেতৃত্বে একটি নৌবহর অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছাল এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের পোর্ট জ্যাকসনে প্রথম স্থায়ী ইওরোপীয় বসতি স্থাপন করল।* দেশটিতে এ সময় অ্যাবোরিজিনীয় অস্ট্রেলীয়র সংখ্যা ৭ লক্ষ ৫০ হাজার।
* ব্রিটিশদের জন্য অস্ট্রেলিয়া ছিল একটা কারা উপনিবেশ। ১৭৮৮ সাল থেকে ১৮৬০য়ের দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া প্রায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার অভিযুক্ত আসামীকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠায়। এঁদের অনেকেই ক্ষুধার যন্ত্রণায় খাবার চুরি করে খাওয়ার মত ‘অপরাধ’ সংঘটনের দোষে দোষী; আর কেউ কেউ ছিলেন রাজবন্দী, যেমন আইরিশ মুক্তিযোদ্ধারা।
১৭৮৯ ব্রিটেনের রাজকীয় নৌবাহিনীতে নাম লেখালেন ম্যাথু ফ্লিন্ডার্স।
১৭৯০ ইংল্যান্ড থেকে রেশন আসতে বিলম্ব হওয়ার কারণে নিউ সাউথ ওয়েলসের বসতিস্থাপনকারীদের না খেয়ে মরার দশা হল। প্রশাসক ফিলিপ নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতি স্বাধীন বসতিস্থাপনকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করলেন। নতুন উপনিবেশটি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে মুক্তিপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে জমি বিলি করতে শুরু করলেন।
১৭৯২ পোর্ট জ্যাকসনের প্রশাসকের পদ থেকে আর্থার ফিলিপকে সরিয়ে দিয়ে তাঁর জায়গায় মেজর ফ্রান্সিস গ্রোসকে নিয়োগ দেয়া হল।
১৭৯৮ ম্যাথু ফ্লিন্ডার্স প্রমাণ করলেন, বাস প্রণালি ভ্যান দিয়েমেনের দ্বীপকে (তাসমানিয়া) অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।
১৮০১-০৩ অস্ট্রেলিয়ার তটরেখা জরিপ করে দেখলেন ম্যাথু ফ্লিন্ডার্স।
১৮০৩ ইওরোপীয়রা প্রথম তাসমানিয়ায় বসতি স্থাপন করে। নৌপথে অস্ট্রেলিয়া প্রদক্ষিণ করলেন ম্যাথু ফ্লিন্ডার্স। তাঁকে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত করা হল এবং পরবর্তী সাত বছর মরিশাসে কারারুদ্ধ করে রাখা হল।
১৮১০ ইংল্যান্ডে ফিরে আসলেন ম্যাথু ফ্লিন্ডার্স।
১৮১৪ ম্যাথু ফ্লিন্ডার্স, আ ভয়েজ টু টেরা অস্ট্রালিস: আন্ডারটেকেন ফর দ্য পারপাজ অফ কমপ্লিটিং দ্য ডিসকভারি অফ দ্যাট ভাস্ট কান্ট্রি, অ্যান্ড প্রজিকিউটেড ইন দ্য ইয়ার্স ১৮০১, ১৮০২, অ্যান্ড ১৮০৩, ইন হিজ ম্যাজেস্টি’স শিপ দ্য ইনভেস্টিগেটর।
১৮২৭ ইওরোপীয়রা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার আলবানিতে বসতি স্থাপন করে।
১৮২৯ ইওরোপীয়রা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে বসতি স্থাপন করে।
১৮৩০ অ্যাবোরিজিনীয় তাসমানীয়দের ফ্লিন্ডার্স দ্বীপে পুনঃবসতি স্থাপন করানোর একটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালান হল, পরে তাঁরা কেপ ব্যারেন দ্বীপে বাস করতে শুরু করেন।
১৮৩৫ ইওরোপীয়রা মেলবোর্নের পত্তন ঘটায়। ভিক্টোরিয়া উপনিবেশের সূচনা।
১৮৩৬ ইওরোপীয়রা অ্যাডেলেইডের পত্তন ঘটায়। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া উপনিবেশের সূচনা।
১৮৩৮ জার্মান বসতি স্থাপনকারীরা দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বারোসা উপত্যকায় এসে পৌঁছাল।
১৮৪২ ইওরোপীয়রা ব্রিসবেনে বসতি স্থাপন করে। কুইন্সল্যান্ড উপনিবেশের সূচনা।
১৮৪৮ এক অস্ট্রেলীয় কোম্পানির কাছে ফিজির বর্তমান রাজধানী সুভা বিক্রি করে দিলেন সর্দার চাকোবাউ।
১৮৫১-৫২ স্বর্ণ লালসা বহু মানুষকে অস্ট্রেলিয়ায় টেনে আনল।
১৮৫৬ প্রথম দেশ হিসেবে নির্বাচনের জন্য গোপন ব্যালট ব্যবহার করার নিয়ম চালু করল অস্ট্রেলিয়া।
১৮৬৯ অ্যাবোরিজিনাল প্রটেকশন অ্যাক্ট পাশ করা হল।
১৮৭৭ অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের মধ্যে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ।
১৮৮০ কেলি গ্যাংয়ের নেতা নেড কেলিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল।
১৮৯১ আদমশুমারিতে দেখা গেল, এ সময় ইংরেজ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয়র সংখ্যা ৪৫৯,০০০, আইরিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয়র সংখ্যা ২২৮,০০০, আর স্কট বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয়র সংখ্যা ১২৪,০০০।
১৯০০ এ বছর নাগাদ যুক্তরাজ্য আর আয়ারল্যান্ড থেকে ১০ লক্ষ বসতি স্থাপনকারী অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে। পরবর্তীতে পুরো বিংশ শতাব্দী জুড়ে আরো ২০ লক্ষ ব্রিটিশ ও আইরিশ অস্ট্রেলিয়ায় আসেন।
১৯০১-২৭ এই সময় অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ছিল মেলবোর্ন।
১৯০১ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভেতরেই একটি সাধারণতন্ত্র হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে অস্ট্রেলিয়া, কাগজে কলমে ব্রিটেনের রানী রাষ্ট্রপ্রধান রয়ে যান। এ বছরই পাশ হল দেশটির ইমিগ্রেশন রেস্ট্রিকশন অ্যাক্ট। যা দেশটিতে অশ্বেতাঙ্গদের অভিবাসনে ইতি টেনে দিল।
১৯০১-০৩ স্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী এডমুন্ড বার্টনের শাসনকাল।
১৯১১ ক্যানবেরার পত্তন, ভবিষ্যৎ রাজধানী হিসেবে নির্ধারিত হল।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৫-১৬ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দার্দেনেলিস প্রণালীর কাছে গাল্লিপোল্লির যুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অস্ট্রেলীয় সৈনিক তুর্কিদের হাতে নিহত হন। এই যুদ্ধ অস্ট্রেলীয় জাতীয়তাবাদের উত্থানে ভূমিকা রেখেছে। গাল্লিপোল্লির যুদ্ধে নানানভাবে অবদান রাখা অস্ট্রেলীয় ও নিউজিল্যান্ডীয় সৈনিকদের স্মৃতির স্মরণে প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল আনজাক দিবস নামে পালিত হয়ে আসছে।
১৯২৭ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী মেলবোর্ন থেকে সরিয়ে ক্যানবেরায় নেয়া হল।
১৯২৯ মহামন্দার প্রভাব অস্ট্রেলিয়ার ওপরও পড়ল।
১৯৩৮ নিউ সাউথ ওয়েলসে শ্বেতাঙ্গদের উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার ১৫০ বছর পূর্তিতে সিডনিতে অ্যাবোরিজিনীয় অস্ট্রেলীয়দের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল, সম্মেলনে ২৬ জানুয়ারিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হল।
১৯৩৯ ব্রিটিশদের পথ অবলম্বন করে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪১ জাপানিদের হাতে সিঙ্গাপুরের পতন হলে সমুদ্র পারের দেশ অস্ট্রেলিয়া স্বীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহায্য চাইল। অস্ট্রেলিয়া মার্কিনীদেরকে অস্ট্রেলীয় ভূখণ্ডে প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধের সর্বোচ্চ কমাণ্ড ঘাঁটি বসানোর অনুমোদন দিল।
১৯৪২ ডারউইনসহ অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলোতে জাপানিরা বোমা ফেলল।
১৯৪৮ ইওরোপীয়দের জন্য অভিবাসন পরিকল্পনা হাতে নিল অস্ট্রেলিয়া। পরের তিরিশ বছরে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ ইওরোপ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন। এদের এক-তৃতীয়াংশই ব্রিটিশ; বাকিরা গ্রিক, ইতালীয়, জর্মন।
১৯৫০ কোরীয় যুদ্ধে জাতিসংঘের বাহিনীতে সেনা পাঠাল অস্ট্রেলিয়া।
১৯৫৬ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হল অলিম্পিক গেমস।
১৯৬৫ ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিনীদের পক্ষে লড়তে সেনা পাঠাল অস্ট্রেলিয়া।
১৯৬৭ প্রথমবারের মত অ্যাবোরিজিনীয় অস্ট্রেলীয়দেরকে আদমশুমারির অন্তর্ভুক্ত করল অস্ট্রেলিয়া।
১৯৭০-৭৯ অস্ট্রেলিয়া “শুধুই শ্বেতাঙ্গ” অভিবাসন নীতি থেকে সরে এল। দেশটিতে তুরস্ক, চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, ও মালয়েশিয়া থেকে অভিবাসীদের আগমন শুরু হল।
১৯৭১ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম অ্যাবোরিজিনীয় সিনেটর হলেন নেভিল বোনার।
১৯৭৫ অস্ট্রেলিয়ায় রেসিয়াল ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট বর্ণবৈষম্যকে নিষিদ্ধ করল।
১৯৭৬ অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাবোরিজিনাল ল্যান্ড রাইটস অ্যাক্ট (নর্দার্ন টেরিটোরি) পাশ করা হল।*
* ১১,০০০ অ্যাবোরিজিনীয় অস্ট্রেলীয় ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি পেলেন।
১৯৯২ মাবো বনাম কুইন্সল্যান্ড মামলার ঐতিহাসিক রায়ে অস্ট্রেলিয়ার হাই কোর্ট বলল, দেশটি কোনোদিনই টেরা নালিয়াস ছিল না।*
* ইওরোপীয় বসতি স্থাপনকারীদের মাথা থেকে বের হওয়া একটা ভয়াবহ ধারণা টেরা নালিয়াস। এর আক্ষরিক অর্থ হল “মানব বসতিহীন জমি।” দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দাদের জমি দখল করে নিতে এই ধারণা প্রয়োগ করা হত।
১৯৯৩ অস্ট্রেলিয়ায় নেটিভ টাইটেল অ্যাক্ট অ্যাবোরিজিনীয় অস্ট্রেলীয়দের ভূমি অধিকার পাবার একটি প্রক্রিয়া চালু করল।
১৯৯৬-২০০৭ এই সময়ের মধ্যে টানা চার বার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন উদার দলের জন হাওয়ার্ড।
১৯৯৯ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে বেরিয়ে এসে অস্ট্রেলিয়াকে একটি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা ইস্যুতে দেশটিতে গণভোট হল। ৫৫ শতাংশ ভোট সাম্রাজ্যে থেকে যাওয়ার পক্ষে পড়ল। ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে সদ্য স্বাধীনতা লাভ করা পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশিয়াপন্থী মিলিশিয়ার সহিংসতা ঠেকাতে দেশটির পাশে দাঁড়াল অস্ট্রেলিয়া।
২০০০ অস্ট্রেলিয়াতে এক শতাব্দীর মধ্যে সবচে ভয়াবহ খরা। দেশটিতে এসময় ৩৫০,০০০ জন নিউজিল্যান্ডার বাস করছেন। এবছরের অলিম্পিক গেমস সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়।
২০০১ ৩০০ বছর আগে ডুবে যাওয়া এইচএমবিএস রোয়েবাকয়ের ধবংসাবশেষ আবিষ্কার করল পশ্চিম অস্ট্রেলীয় সামুদ্রিক যাদুঘর কর্তৃক কমিশনপ্রাপ্ত একটি দল।
২০০২ অক্টোবর ১২ ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের কুটা রিসোর্টের এক নাইট ক্লাবে সন্ত্রাসবাদী হামলা। হামলায় নিহত ২২২ জন পর্যটকের মধ্যে ৮৮ জন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। আল কায়েদা এই হামলার দায় স্বীকার করে।
২০০৩ এবছর নাগাদ অস্ট্রেলীয়দের ৫০ লাখ ক্যাথলিক, ৪০ লাখ অ্যাংলিকান, ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার প্রেসবাইটারিয়ান চার্চের অনুসারী। এছাড়াও ৫ লক্ষ গ্রিক ও সার্বীয় অভিবাসী প্রাচ্যীয় অর্থোডক্স চার্চ ও আড়াই লক্ষ জার্মান অভিবাসী লুথেরান চার্চের অনুসারী। দেশটিতে মুসলমানদের সংখ্যা ২ লক্ষের কিছু বেশি। প্রায় ৫০ লক্ষ অস্ট্রেলীয়, দেশটির জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ, কোনো ধর্মে বিশ্বাস করেন না। এবছর নাগাদ অস্ট্রেলীয়দের মাথাপিছু ক্রয়ক্ষমতা ২৫০০০ ডলার। তবু দেশটিতে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্যে বসবাস করছেন।
২০০৬ তিমুর সাগরে মজুত থাকা তেল-গ্যাস থেকে যে কোটি কোটি ডলার রাজস্ব পাওয়া যাবে, তা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে একটা চুক্তি সই করল পূর্ব তিমুর ও অস্ট্রেলিয়া।
২০০৭ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন শ্রমিক দলের কেভিন রুড।
২০০৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড স্টোলেন জেনারেশনের কাছে তাঁদের সাথে অতীতে শ্বেতাঙ্গদের করা অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চাইলেন।*
* ১৮৫০য়ের দশক থেকে ১৯৭০য়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে হাজার হাজার অ্যাবোরিজিনীয় অস্ট্রেলীয় শিশুকে চুরি করে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এদের প্রায় ৫০০টি প্রতিষ্ঠানে শ্বেতাঙ্গ ‘তত্ত্বাবধায়কদের’ হাতে তুলে দেয়া হয়, যারা শিশুগুলোর ভাষা-সংস্কৃতি-পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করে। সাংস্কৃতিক গণহত্যার শিকার এই শিশুরাই স্টোলেন জেনারেশন।
২০১০ শ্রমিক দলের প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কেভিন রুড। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন জুলিয়া গিলার্ড। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া।
২০১৩ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হলেন উদার দলের অ্যাবোট। সংসদে সরকার ও বিরোধীদের সম্মতিক্রমে ঐতিহাসিক অ্যাবোরিজিনাল অ্যান্ড টোরে আইল্যান্ডার পিপলস রিকগনিশন অ্যাক্ট পাশ হয়ে গেল। শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে এল অস্ট্রেলিয়া, বহুজনের রাষ্ট্র হওয়ার পথে পা বাড়াল।
২০১৫ প্রধানমন্ত্রী হলেন উদার দলের ম্যালকম টার্নবুল।
২০১৭ অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সমকামী বিবাহকে আইনী বৈধতা দিল।
২০১৮ প্রধানমন্ত্রী হলেন উদার দলের স্কট মরিসন।
২০২০ নজিরবিহীন তাপপ্রবাহের কারণে তৈরি হওয়া বুশফায়ারে অস্ট্রেলিয়ার অন্তত ২৫ জন মানুষের মৃত্যু হল। লক্ষ লক্ষ বন্যপ্রাণী আগুনে পুড়ে মারা গেল। দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে ২,৫০০টি ঘর ধবংস হয়ে গেল।
২০২২ প্রধানমন্ত্রী হলেন শ্রমিক দলের অ্যান্থনি আলবানিজ।
তথ্যসূত্র
Australian Human Rights Commission. 2022. “Track the History Timeline: The Stolen Generations.” Accessed May 25.
https://humanrights.gov.au/our-work/education/track-history-timeline-stolen-generations
BBC. 2020. “Australia profile – Timeline.” BBC, January 7.
https://www.bbc.com/news/world-asia-15675556
Jordan-Bychkov, Terry. 2003. Australia. Philadelphia: Chelsea House.
Martins, Kim. 2021. “William Dampier.” World History Encyclopedia. Last modified December 10. https://www.worldhistory.org/William_Dampier/.
— 2022. “Matthew Flinders.” World History Encyclopedia. Last modified January 10.
https://www.worldhistory.org/Matthew_Flinders/.
The Healing Foundation. 2022. “Who are the Stolen Generations?” Accessed May 25, 2022.
https://healingfoundation.org.au/who-are-the-stolen-generations/
West, Barbara A., and Murphy Frances T.. 2010. A Brief History of Australia. New York: Facts On File.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি